
ছবি: জনকণ্ঠ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এবারের পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে দুটি ব্যতিক্রমী কোরবানির ষাঁড়— ‘কিকো’ ও ‘শিবা’। বিশাল আকৃতি, স্বাস্থ্যবান গঠন এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালিত হওয়ায় ইতোমধ্যেই এই ষাঁড় দুটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় হাটবাজার থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এই ষাঁড় দুটো লালন-পালন করছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের ‘দাস ইভা এগ্রো লিমিটেড’-এর কর্ণধার পঙ্কজ কুমার দাস। তার এই ষাঁড় দুটো দেখতে অনেক ক্রেতা এখন ছুটে আসছেন তার বাড়িতে।
করোনাকালীন সময়ে পঙ্কজ কুমার দাস যখন অলস সময় কাটাচ্ছিলেন, তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তা হবেন। নিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নেমে পড়েন কঠোর পরিশ্রমে। মাত্র দুটি গরু দিয়ে নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন গরুর খামার—‘দাস ইভা এগ্রো লিমিটেড’। বর্তমানে এই খামারে ৬ জন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
খামারে বর্তমানে বিদেশি জাতের ছোট-বড় ৩২টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন খামার থেকে দুই মনেরও বেশি দুধ উৎপাদিত হয়। এই খামারই বদলে দিয়েছে পঙ্কজ কুমার দাসের ভাগ্য। এখন তার খামারে রয়েছে কোটি টাকার গরু।
কোনো প্রকার কৃত্রিম হরমোন বা ওষুধ ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে এবং প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে পশুগুলোর পরিচর্যা করা হয়। গরুর খামারের পাশেই রয়েছে ফ্রিজিয়ান জাতের জন্য উপযোগী বিশাল ঘাসের মাঠ। এছাড়াও গরুর খাদ্যের জন্য তিনি প্রতিবছর ভুট্টা চাষ করেন। নিজের খামারে উৎপাদিত ভুট্টা মেশিনে মাড়াই করে সারা বছর গরুকে খাওয়ান। গরুগুলোর প্রতি রয়েছে তার সন্তানের মতো ভালোবাসা।
লাল রঙের ‘শিবা’ শাহীওয়াল জাতের ষাঁড় এবং কালো রঙের ‘কিকো’ হলস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ষাঁড় দুটির প্রতিটির ওজন বর্তমানে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ মণ। সুঠাম দেহের এই ষাঁড় দুটির উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে প্রায় ৮ ফুট। বুকের চওড়া ৬ ফুট। এ বছর ন্যায্য দাম পেলে গরু দুটি বিক্রি করতে চান খামারের মালিক পঙ্কজ কুমার দাস।
এম.কে.