ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লাইসেন্সবিহীন গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে বছরের পর বছর

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ২৩ মে ২০২৫; আপডেট: ১২:৫৭, ২৩ মে ২০২৫

লাইসেন্সবিহীন গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে বছরের পর বছর

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে লাইসেন্সবিহীন এবং বছরের পর বছর লাইসেন্স নবায়ন না করেও চলছে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা বহু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্য বিভাগের নাকের ডগায় পরিচালিত এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দিনের পর দিন কার্যক্রম চালালেও নীরব প্রশাসন। তবে নিয়মিত এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। এসব ভুয়া লাইসেন্সবিহীন গড়ে ওঠা বহু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কারণে ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগী অকালে মারা যায়।

কুড়িগ্রাম শহর ও ৯টি উপজেলা শহরের বিভিন্ন লাইসেন্সবিহীন এবং বছরের পর বছর লাইসেন্স নবায়ন না করেও চলছে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এমনি একটি ক্লিনিক ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ভূরুঙ্গামারী পুপলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম। এখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় নানা রোগের। ব্যবস্থাপত্র দেয়ার জন্য বসানোও হয়েছে ডাক্তার। তবে এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির বৈধ লাইসেন্স নাই। লাইসেন্স না পাওয়ার কথা স্বীকার করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির কর্ণধার দাবি করেন কোন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় না এখানে। একই উপজেলার আপডেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ জেলার বেশকিছু ডায়াগনস্টিক ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কয়েক বছর যাবত নবায়ন করা নেই। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে নেই দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ল্যাব এসিসেটেন্ট, কম্পিউটার অপারেটরসহ পরিছন্ন কর্মী। মাঝেমধ্যে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আর্থিক জরিমানা ও  প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া হলেও কয়েক মাস বন্ধ থাকলেও অদৃশ্য কারণে পুনরায় চালু হয়।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জানান নতুন লাইসেন্স কিংবা নবায়ন প্রাপ্তির আবেদন করে বা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শন শেষে কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। তবে তাদের দাবি পিছনে অনেক অদৃশ্য খরচ করতে হয়। 

সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে কুড়িগ্রাম জেলায় মোট লাইসেন্সধারী ক্লিনিক আছে ৩৪টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে ৯৮টি। এর মধ্যে ৯৫াটির লাইসেন্স আছে। এ বাদেও প্রায় অর্ধশতাধিক লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে এ জেলায়।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে প্রায় সময় জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরির্দশন করা হয়। অবৈধ কাগজ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।

এএইচএ

×