
ছবি: জনকণ্ঠ
রাজশাহী পদ্মার কোল ঘেঁষে থাকা এক শান্ত, পরিচ্ছন্ন শহর। পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যের অপূর্ব মিলনস্থল এই শহর যেন প্রতিটি কোণায়-প্রান্তে ছড়িয়ে রেখেছে সৌন্দর্য আর স্বস্তির বার্তা।
মাঝরাতে হঠাৎ কাঠগোলাপের মম গন্ধে মুখর চারপাশ। শহরের বুকে কোলাজ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ডিভাইডারগুলোতে চোখে পড়ে সারি সারি কাঠগোলাপ গাছ। দিনের আলোয় তারা কেবল ফুল হয়ে ফুটে থাকে না, যেন শহরবাসীর মনে এক টুকরো শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। দুপুরের প্রখর রোদে যখন গাড়ির সারি আর ক্লান্ত মানুষদের ভিড় শহরটিকে ব্যস্ত করে তোলে, তখনো ডিভাইডারের কাঠগোলাপ ফুলগুলো ধুলাবালির কণায় কণায় জড়িয়ে থেকেও যেন অটুট সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয়।
বিকেলের পর শহর যখন একটু শান্ত হয়, তখন নরম হাওয়ায় দুলতে থাকা কাঠগোলাপ ফুলগুলো দেখে মনে হয় তারা বাতাসের ছোঁয়ায় মাথা নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছে পথচারীদের। আর সন্ধ্যা নামলে, সাদা মিঠে আলোয় এই ফুলগুলো ছড়িয়ে দেয় এক জাদুকরী আভা—যা পুরো শহরজুড়ে এনে দেয় এক অনাবিল প্রশান্তি।
এইসব সৌন্দর্যের মাঝেই রাজশাহীর চেনা ছন্দ—রাস্তার পাশে থাকা টং দোকানে ভিড় জমায় সব বয়সের মানুষ। হাতে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা, আর গল্পে গল্পে হারিয়ে যাওয়া সময়। কেউ রাজনীতির কথা বলেন, কেউ জীবন, কেউবা শুধুই স্মৃতির।
এ শহরের আরেক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য প্রেমিক-প্রেমিকারা—হাত ধরে হেঁটে চলেন রাস্তার পাশে, যেন রাজশাহীর প্রতিটি গাছ, প্রতিটি ফুল, তাদের নির্ভরতা ও ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
রাজশাহী কেবল একটি শহর নয়, এটি এক অনুভব, এক শান্ত শহরের গল্প। কাঠগোলাপের মতোই যার সৌন্দর্য নীরব, কিন্তু স্পর্শে হৃদয়গ্রাহী।
সাব্বির