
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ
রায়পুর পৌরসভায় উন্নয়ন প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত ও নাগরিক সেবায় গতিশীলতা আনতে আজ সোমবার (১৯ মে) সকাল ১০টায় সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার সরকার। তাঁর এই পরিদর্শনকে ঘিরে পৌরসভা জুড়ে দেখা যায় ব্যাপক প্রস্তুতি ও উৎসাহ।
সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো: ইমরান খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মাসউদ মোরশেদ, সহকারী প্রকৌশলী জনাব কামরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক প্রথমেই পৌর ভবনের প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। কর আদায় ব্যবস্থাপনা, সেবা গ্রহণে নাগরিক সহায়তা কেন্দ্র, ডিজিটাল নথি ব্যবস্থাপনা এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে আধুনিকীকরণের প্রশংসা করেন তিনি। পরবর্তীতে পৌর এলাকার চলমান সড়ক উন্নয়ন, নালা-নর্দমা সংস্কার, ওয়ার্ডভিত্তিক আলোকায়ন প্রকল্প ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।
এসময় তিনি বলেন, “রায়পুর পৌরসভা জনকল্যাণে যে-সব পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন হলে এটি জেলার রোল মডেল পৌরসভায় পরিণত হবে।”
পৌর প্রশাসক মো: ইমরান খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, “নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে আমরা দিনরাত কাজ করছি। উন্নয়ন কাজে স্বচ্ছতা ও সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখাই আমাদের অগ্রাধিকার।”
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশন ও অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত পদক্ষেপ তুলে ধরেন। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী প্রকৌশলী চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা উপস্থাপন করেন।
পরিদর্শন চলাকালে জেলা প্রশাসক স্থানীয় নাগরিকদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত গ্রহণ করেন। সেবার মান নিয়ে বেশিরভাগ নাগরিকই সন্তোষ প্রকাশ করেন। কিছু প্রস্তাবনা ও সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দফতরে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
রায়পুর পৌরসভায় এ ধরনের তদারকি ও অনুপ্রেরণামূলক সফর স্থানীয় প্রশাসনকে আরও কার্যকর ও জনমুখী করে তুলবে বলে মত স্থানীয় নাগরিক ও বিশ্লেষকদের।
উন্নয়ন আর সেবায় গতিশীলতা-এই দুয়ের মেলবন্ধনেই গড়ে উঠতে পারে একটি সত্যিকারের মডেল পৌরসভা।
মিরাজ খান