ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গাজীপুরে তৃতীয় দিনেও অর্ধশতাধিক পোশাক শ্রমিক অসুস্থ

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, গাজীপুর

প্রকাশিত: ২১:২১, ১৯ মে ২০২৫

গাজীপুরে তৃতীয় দিনেও অর্ধশতাধিক পোশাক শ্রমিক অসুস্থ

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

গাজীপুরে আজও একটি পোশাক কারখানার অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়েছেন। 

সোমবার (১৯ মে) গাজীপুরে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিক কম্পোজিট লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী শ্রমিক। 

শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর নাওজোর এলাকার ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিক কম্পোজিট লিমিটেড কারখানায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তারা সোমবার সকালে কারখানায় এসে কাজে যোগ দেন। কাজে যোগ দেওয়ার পর কয়েকজন শ্রমিক কারখানার সরবরাহ লাইনের পানি পান করেন। পানি পান করার পরপরই তারা পেটের ব্যথা, মাথা ঘোরানো ও বমি বমি অনুভব করে পর্যায়ক্রমে অসুস্থ হতে থাকেন। 

অসুস্থ প্রায় ৬০ জনকে স্থানীয় গাজীপুর সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত দুইদিনে (শনিবার ও রবিবার) একই লক্ষণ নিয়ে আরো শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হন। তাদেরকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ওই হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় উভয় দিন কারখানা ছুটি ঘোষণা করলেও রবিবার কারখানা চালু রাখে কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুর সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো: আব্দুল হামিদ জানান, ‘সোমবার অসুস্থ ৫৬-৬০ জনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা পেটের ব্যথা, মাথা ঘোরানো ও বমি বমি অনুভব করছিলেন। এর আগে একই লক্ষণ নিয়ে শনিবার ও রবিবার আরো ১৩০ জনের মতো অসুস্থ শ্রমিককে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বেশিরভাগই নারী। গত দুইদিনে ভর্তি হওয়া অসুস্থদের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।’

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, “গত তিনদিন ধরে পেটের ব্যথা, মাথা ঘোরানো ও বমি বমি অনুভব করে অসুস্থ ওই কারখানার বেশ কিছু শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ কারণে গত দুইদিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। 

তিনি আরো বলেন, “কারখানার পানি পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল ইতোমধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।

 তিনি আরো জানান, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সংস্থাগুলো যৌথভাবে বিষয়টি যাচাই করছে।

মিরাজ খান

×