ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ক্লুলেস ডাকাতি মামলার রহস্য উন্মোচনে সম্মাননা পেলেন মুকসুদপুরের ওসি তদন্ত শীতল চন্দ্র পাল

শরিফুল রোমান, নিজস্ব সংবাদদাতা, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৯:১০, ১৯ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:১১, ১৯ মে ২০২৫

ক্লুলেস ডাকাতি মামলার রহস্য উন্মোচনে সম্মাননা পেলেন মুকসুদপুরের ওসি তদন্ত শীতল চন্দ্র পাল

সিঙ্গাপুর প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির রহস্য উন্মোচনে ও ডাকাত গ্রেফতার করে সম্মাননা পেয়েছেন মুকসুদপুরের ওসি তদন্ত শীতল চন্দ্র পাল। 

মুকসুদপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাতে মুকসুদপুরের গোলাবাড়ীয়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী রইচ উদ্দীন শেখের বাড়িতে, ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কমপক্ষে ১০/১২ জনের ডাকাতদল নীচতলার জানালার গ্রিল কেটে এবং দ্বিতীয় তলার বেলকনির দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা বাড়ির সদস্যদের হাত ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড হওয়ার পর ওসি (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল মামলার তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

শীতল চন্দ্ৰ পালের নেতৃত্বে মুকসুদপুর থানার চৌকস টিম ক্লুলেস, এই ডাকাতি মামলার রহস্য উন্মোচনে নিরলসভাবে কাজ করতে থাকেন। তদন্তের ধারাবাহিকতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তকারী কর্মকর্তা শীতল চন্দ্ৰ পাল, উক্ত ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় খুলনা শহরের শাহিন আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মহসিউল ইসলাম বাবু এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আলমগীর, সজল, কামরুল, জুয়েল এবং সাগর নামের ডাকাতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

উল্লিখিত ডাকাতদের মধ্যে হোটেল ম্যানেজার মহসিউল ইসলাম বাবু, ডাকাত আলমগীর, ডাকাত সজল নিজেদের দায় স্বীকার করে, প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। 

ক্লুলেস এমন ডাকাতি মামলার রহস্য উন্মোচনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পালকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন। 

এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল জানান, সকলের সমন্বিত টিম ওয়ার্ক এবং সিনিয়র স্যারদের নির্দেশনার ফলে এই ডাকাতি মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারসহ ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সজিব

×