ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রায়গঞ্জ পৌরসভার ১২ কোটি টাকার ড্রেন নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার, ভোগান্তি পৌরবাসীর

এইচ এম মোনায়েম খান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ১৮ মে ২০২৫

রায়গঞ্জ পৌরসভার ১২ কোটি টাকার ড্রেন নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার, ভোগান্তি পৌরবাসীর

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩.৪ কি: মি: ড্রেন নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫০ শতাংশ। কাজের ধীরগতি থাকার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনীহার কারণে এমন অবস্থা দাবি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের।

জানাযায়, বাংলাদেশের ৩০টি পৌর সভার পানি সরবরাহ ওস্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার পৌর এলাকার রায়গঞ্জ বাজার ও ধানগড়া বাসস্ট্যান্ডের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। ৩.৪ কি:মি: ড্রেন নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় মের্সাস এমএস আরইএইজেভি কনস্ট্রাকশন। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি কাজ। নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে ঠিকাদার। এতে প্রকল্পর ব্যয় দ্বিগুন বাড়তে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার রায়গঞ্জ বাজার হতে ফুলজোড় নদী ও ধানগড়া বাসস্ট্যান্ড হয়ে ফুলজোড় নদী পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত চলাফেরা করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী সহ স্থানীয়দের।

রায়গঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রায়গঞ্জ বাজার হতে ফুলজোর নদী পর্যন্ত ড্রেনের নির্মাণ কাজ করলেও অসমাপ্ত রয়েছে। ধানগড়া বাজারের স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদার ধানগড়া পৌর বাসস্ট্যান্ড হয়ে ফুলজোড় নদী পর্যন্ত ড্রেনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিছুটা কাজ করলেও পুরো কাজটি শেষ করতে পারে নাই। কিছুদিন পরে কাজ ফেলে চলে যায় ঠিকাদারের লোকজন। এরপর তাদের দেখা মেলেনি। কাজও হয়নি। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙা সড়ককে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। 
এ বিষয়ে কথা বলতে মের্সাস এমএস আরইএইজেভি কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার খন্দকার শহিদুল ইসলামের কাছে একাধিকবার ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, কাজ বন্ধ রাখার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠি পেয়ে তারা যোগাযোগ করেছিল। তারা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করছে। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি পেলেই ঠিকাদার আবার কাজ শুরু করবেন। খুব দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

 

রাজু

×