ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫, ৩১ চৈত্র ১৪৩২

২১ বছরে নষ্ট হয়েছে টিনের চাল ও ভেঙে গেছে বেড়া

সংস্কারহীন আবাসনের ঘরে দুর্বিষহ জীবন

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ১৪ মে ২০২৫

সংস্কারহীন আবাসনের ঘরে দুর্বিষহ জীবন

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীতে দীর্ঘদিন ঘর সংস্কার না করায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন আবাসনের বাসিন্দারা

জেলার ফুলবাড়ীতে আবাসনের ঘর সংস্কার না করায় দুর্বিষহ দিন কাটছে বাসিন্দাদের। নষ্ট হয়ে গেছে ২১ বছর আগে নির্মিত আবাসনের টিনের ঘরের চালসহ বেড়া। বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ১৮০টি পরিবারের অনেকেই ছেড়ে গেছেন এসব ঘর।
এদিকে, বারবার আশ্বাসের পরও মেরামতের জন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। ফুঁটো হয়ে গেছে ঘরের টিনের চাল, ভেঙে গেছে বেড়া। এ অবস্থায় বসবাসরত অনেকে ঘরের চালে পলিথিন দিয়ে কোনো রকম বসবাস করলেও অনেক পরিবার ছেড়ে গেছেন আবাসনের ঘর।  
২০০৪ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা এলাকায় ফুলসাগর আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করে নদীভাঙনে আশ্রয়হীন ও ভূমিহীন ১৮০ পরিবারকে বরাদ্দ দেয় তৎকালীন সরকার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও ঘরগুলো মেরামত না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কাছে বারবার ধরনা দিলেও সংস্কার হয়নি ক্ষতিগ্রস্তু ঘর। ফলে, চালসহ বেড়া নষ্ট হওয়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঘরগুলো। এমন পরিস্থিতিতে আবাসন ছেড়ে চলে গেছেন অনেক বাসিন্দা। হতদরিদ্র পরিবারগুলো নিরুপায় হয়ে এখন বসবাস করছে। বর্ষাকালে বৃষ্টি ও শীত থেকে বাঁচতে ভাঙা চালে পলিথিন দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বর্ষার আগেই দ্রুত আবাসনের ঘর মেরামতের দাবি তাদের।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কথা বলতে রাজি না হলেও, আসন্ন বর্ষার আগেই জরাজীর্ণ আবাসনটি সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করার করার দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবাসনে বসবাসকারী কয়েকজন বলেন, ২০০৮ সালে ঘর পেয়েছি। ঘরগুলো এখন থাকার উপযোগী নয়। পুরো চাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের সামর্থ্য নেই চালগুলো ঠিক করার। তারা আরও বলেন, আমরা বহুদিন থেকে এখানে বসবাস করছি। খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। সরকারের কাছে অনুরোধ, ঘরগুলো যেন তাড়াতাড়ি ঠিক করে দেয়।
ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, ২০০৪ সালে সাড়ে ৬ একর জমিতে নির্মাণ করা আবাসনটিতে আশ্রয়হীন প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয় সাড়ে চার শতক জমিসহ ঘর। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এর মেরামত করা হয়নি। আমরা বহুবার উপজেলা নির্বাহীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি।

প্যানেল

×