
ছবি:সংগৃহীত
কুমিল্লার দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাব্বির হত্যা মামলার এজহারনামীয় আসামি যুবলীগ নেতা পাভেল সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে দেবীদ্বার থানা পুলিশ।
যুবলীগ নেতা পাভেল সরকারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
সোমবার (১২ মে) দিবাগত রাত ২টায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বক্রিকান্দি নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে কুমিল্লা আদালতের পাঠানো হয়েছে।
মো. পাভেল সরকার (৩৭) উপজেলার ভানী ইউনিয়নের বক্রিকান্দি গ্রামের সরকার বাড়ির মো. ওয়াদুদ সরকারের ছেলে এবং ভানী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাব্বির হত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর উল্লসিত জনতা দেবীদ্বার থানা ঘেরাও কালে ছাব্বির মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১ মাস ৮ দিন চিকিৎসা নিয়ে গত বছরের ১৩ আগস্ট বাড়ি ফেরার পরদিন ১৪ আগস্ট সকাল ৯টায় ছাব্বির মারা যায়।
নিহত আমিনুল ইসলাম ছাব্বির (১৭) দেবীদ্বার পৌর এলাকার মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী মরিচাকান্দা জিয়া স্মৃতি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। লেখা পড়ার পাশাপাশি ছাব্বির ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাত। তার বাবার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামে।
বাবার মৃত্যুর পর মা রিনা আক্তার সাব্বিরের দুই ভাই এক বোন নিয়ে দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ী গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সাব্বিরের মামা নাজমুল হাসান বাদী হয়ে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ ৯৯ জনকে এজহারভুক্ত ও অজ্ঞাতনামা ৬০/৭০জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা তদন্তকালে ভিডিও ফুটেজ ও স্থির চিত্র দেখে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. পাভেল সরকারকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত পাবেল সরকারকে দুপুরে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আলীম