
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা একসময় শেখ হাসিনার ভয়ে প্রকাশ্যে আসেননি, তারাই এখন সংস্কারের বুলি আওড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে তাদের কেউ রাজপথে ছিল না। শেখ হাসিনার শাসনামল পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে, সে ভাবনা থেকেই বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগেই আমরা ২৭ দফা দিয়েছিলাম। তারও আগে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছিলেন।”
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
আমির খসরু বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, তার কিছুই এখনো শুরু হয়নি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া প্রকৃত কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বাস্থ্য খাতে মৌলিক অবদান রেখেছেন, অথচ তিনি প্রচারের আলোয় আসেননি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য হলেও আজ তাকে স্মরণ করছে না কেউ।”
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “একটি অনির্বাচিত সরকার মানবিক করিডরের নামে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—যার পেছনে জনগণের বা কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত নেই। এর সঙ্গে কারা জড়িত, সেটাই এখন জানার বিষয়। যতদিন না একটি নির্বাচিত সরকার আসে, ততদিন বাংলাদেশে প্রকৃত বিনিয়োগ আসবে না।”
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে কিছুই পাল্টায়নি। পুলিশ ও প্রশাসন আগের মতোই রয়ে গেছে। সরকারের অবস্থা এমন—চাপ দিলে দাবি মেনে নেয়।”
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়টি সরকার জানত না—এ কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “সরকার গঠনের ৯ মাস পার হলেও তারা এখনো সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ।”
আসিফ