
ছবি: জনকণ্ঠ
দেবীগঞ্জের সেই সমালোচিত ইউপি চেয়ারম্যান, জামায়াত নেতা আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১২ মে) বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মোছা. মিমি আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. মো. জাকির হোসেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম একাধারে খারিজা গুয়াগ্রাম হাজরা ডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেনডেন্ট, বিবাহ রেজিস্ট্রার, মসজিদের ইমাম ও দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মামলার বাদী মিমি আক্তার (১৮) খারিজা গুয়াগ্রাম সতের ঘর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে এবং ওই মাদরাসার ছাত্রী।
এর আগে ছাত্রীর সাথে পরকীয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড় জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তার পদটি স্থগিত করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়,বাদীনি খারিজা গুয়াগ্রাম হাজরাডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই বছর দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। আসামি আব্দুল হালিম ওই মাদরাসার সুপার। আসামি কোন প্রকার টাকা ছাড়া রেজাল্ট ভাল করার জন্য বাদীর বাড়িতে প্রাইভেট পড়ান। প্রাইভেটের কিছুদিনের পরে বাদীনির যৌবনের প্রতি আসক্ত হয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে আসামি আব্দুল হালিম অশ্লীলভাষায় কথাবার্তা লিখে ম্যাসেজ করে। রাজি না হয়ে বিষয়টি তার পিতামাতাকে জানালে তাকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেয়।
আসামি বাদীনির স্বামীর বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে বাড়ির আশপাশে ঘুরাফিরা করতেন।
বাদী মেহমান খেতে পিতার বাড়ি গেলে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল রাতে, বাদীনির মা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। বাদিনীর চিৎকারে তার বাবা-মাসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গেলে আসামি পালিয়ে যায়।
এএইচএ