
ছবি: প্রতীকী
বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের (৩৩ বিজিবি) অভিযানে পাঁচ পিক-আপ ক্ষতিকর জেলি বা অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা চিংড়ি আটক করা হয়েছে। এসময় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জেলি বা অপদ্রব্য পুশকরার অভিযোগে ৫ জন মৎস্য ব্যবসায়ীকে ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে সাতক্ষীরা শহরের আলিয়া মাদ্রাসার মোড় এলাকা থেকে চিংড়ি মাছগুলো আটক করে বিজিবি। শুক্রবার (২ মে) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটেলিয়ান বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল আশরাফুল হক।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অপদ্রব্য পুশকৃত গলদা-বাগদা চিংড়ি মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে পিকআপ ভ্যানে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গমন করবে। ৩৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক বেগ আব্দুল্লাহ আল মাসুমের নেতৃত্বে শহরের আলিয়া মাদ্রাসার মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযানে ৫ পিকআপ গলদা-বাগদা চিংড়ি মাছ আটক করে।
পরবর্তীতে আটককৃত চিংড়ি মাছগুলি সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম এবং বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ সরেজমিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩০০ কেজি গলদা-বাগদা চিংড়ি মাছে ক্ষতিকর জেলি বা অপদ্রব্য পুশ শনাক্ত করে; যার মূল্য ৬ ছয় লক্ষ টাকা বলে জানান।
তিনি আরও জানান, চিংড়ি মাছের মধ্যে ক্ষতিকর জেলি বা অপদ্রব্য পুশ করার অভিযোগে মৎস্য ব্যবসায়ী দেবহাটার কদমখালী গ্রামের মনিন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে জয়দেব মন্ডলকে ২৪ হাজার টাকা, আশাশুনির হাড়িভাঙা গ্রামের স্বপন মিস্ত্রির ছেলে আনন্দ মিস্ত্রীকে ১০ হাজার টাকা, দেবহাটার হিজলডাঙ্গা গ্রামের আলী সরদারের ছেলে রবিন সর্দারকে ১০ হাজার এবং আশাশুনির দক্ষিণ একসরা গ্রামের আজিবর গাজীর ছেলে আনিসুর রহমানকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ক্ষতিকর জেলি বা অপদ্রব্য পুশকৃত মাছগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিধায় ৩০০ কেজি গলদা-বাগদা চিংড়ি মাছ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মিজান/রবিউল