
ছবি সংগৃহীত
সুন্দরবন রক্ষায় উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের দূষণ বন্ধ করা এবং বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে বন্যপ্রাণী শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন পরিবেশবাদীরা। আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে মোংলা সরকারি কলেজে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা সুন্দরবনের ক্রমাগত সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা সংগঠনের সমন্বয়কারী আলম শেখ। এতে বক্তব্য দেন সার্ভিস বাংলাদেশ-এর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, ধরা'র নেত্রী কমলা সরকার, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ডলার মোল্লা, ইদ্রি ইমন, মেহেদী হাসান, মারুফ হাওলাদার, নাজমুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবন শুধু একটি বন নয়, এটি উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য এক প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ। ঘূর্ণিঝড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে এ বন লক্ষ লক্ষ মানুষকে রক্ষা করে। কিন্তু বর্তমানে দখল, দূষণ ও বন উজাড়ের ফলে সুন্দরবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
পরিবেশকর্মীরা অভিযোগ করেন, কয়লা, বিষ এবং প্লাস্টিকের দূষণে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সুন্দরবনে অগ্নিসংযোগ করে, যা মারাত্মক পরিবেশগত ক্ষতি সাধন করছে।
বক্তারা আরও জানান, সুন্দরবনের নদ-নদী ও খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার প্রবণতা এবং হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকার এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এসব বন্ধ করতে হলে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ এবং সুন্দরবনের বাফারজোন এলাকায় অপরিকল্পিত শিল্পায়ন রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সমাবেশ শেষে আয়োজক ও পরিবেশকর্মীরা মোংলা উপজেলার সংলগ্ন সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করেন এবং বনাঞ্চলের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
আশিক