.
নাব্য সংকটের কারণে প্রায় ৬২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌরুটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে, কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে উভয়ঘাটে ফেরি পারের জন্য অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী ট্রাক মালিক-শ্রমিকদের মাঝে। তবে, শঙ্কা কটেনি ফেরি কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে পদ্মা-যমুনায় দ্রুত পানি কমছে। নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন-নতুন ডুবোচর। এতে স্বাভাবিক নাব্য হারিয়ে সরু হয়ে যাচ্ছে নৌপথ।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং ইউনিট আরিচা ঘাটের কাছে প্রায় আড়াই কিলোমিটার নৌপথে টানা ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনে। পরে সোমবার দুপুরে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আরিচাঘাট থেকে যানবাহন বোঝাই ফেরি ধানসিঁড়ি পরীক্ষামূলক পাবনার কাজিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একইভাবে চলতে থাকে বহরের চারটি রো রো ফেরি। মূল চ্যানেলে পর্যাপ্ত নাব্যতা না থাকায় ১ নভেম্বর রাতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ধানসিঁড়ির মাস্টার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, দুপুরে পরীক্ষামূলক ফেরিটি চালাতে বেশ বেগ পোহাতে হয়। চ্যানেলের ৩-৪টি পয়েন্টে সৃষ্ট ডুবোচরে ফেরির তলদেশে ধাক্কা লাগছে। এতে ফেরির প্রপেলারে ক্ষতি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। এ অবস্থায় ফুল লোডে ফেরি চলাচল করা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফেরি সেক্টর বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ জানান, টিএ’র ড্রেজিং বিভাগের কর্মকর্তারা এ রুটে স্বাভাবিক ফেরি চলাচলের নিশ্চয়তা দিলে সোমবার দুপুর থেকে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হলে ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং ইউনিটের চীফ ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুল ইসলাম জানান, নৌপথটি সচল রাখতে সংস্থার নিজস্ব ড্রেজার কাজ করছে। আরিচা বেইজে ১৬টি ড্রেজার যুক্ত রয়েছে। যা ২০টিতে উন্নীত করা হবে। এর মধ্যে ৯টি ড্রেজার খনন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ৪১ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।