মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীর দেওয়া পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ হওয়া স্ত্রীসহ তিনজনই মারা গেছে। গত পাঁচদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী শারমিন আক্তার ও শ্যালক রুবেল মিয়া মারা যায় এবং বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চাচী শাশুড়ি শিরিন আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সাটুরিয়া উপজেলার পশ্চিম গওলা গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে ১০ বছর আগে বিয়ে হয় ধামরাই উপজেলাধীন রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলীর সাথে।বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো এবং স্ত্রী শারমিনের উপর অমানবিক নির্যাতন করত।এ নিয়ে কয়েকবার শশুর বাড়ী থেকে পালিয়ে আসে শারমিন আক্তার গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর)স্বামী হাসান আলিকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শারমিন আক্তার।এ খবর শুনে গত শুক্রবার(১৩ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে হাসান আলী তার শশুর বাড়ি গওলা গ্রামে আসে।শশুর বাড়িতে স্ত্রীকে না পেয়ে,পাশের চাচা শশুরের বাড়িতে খুঁজতে যায়।পরে সেখানে চাচা শশুরের ঘরের ভেতর প্রবেশ করে স্ত্রী শারমিন আক্তারের গায়ে পেট্টোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে চাচী শাশুড়ি শিরিন আক্তার ও শ্যালক রুবেল মিয়া শারমিনকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের শরীরেও আগুন ধরিয়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় হাসান আলী।তাদের সারা শরীরও আগুনে ঝলসে যায়।পরে স্থানীয় প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরের দিকে স্ত্রী শারমিন আক্তার ও শ্যালক রুবেল মিয়া মারা যায় এবং বৃহস্পতিবার সকালে চাচী শাশুড়ি শিরীন আক্তার মারা যায়।
সাটুরিয়া থানার ওসি তদন্ত মানবেন্দ্র বালো বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে শারমিনের বড় ভাই শামিম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত আসামি হাসান আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তাসমিম