খানাখন্দে ভরা সড়ক
লালমোহন পৌরসভায় যেসব ড্রেন রয়েছে তার অধিকাংশই অকেজো। এছাড়া ড্রেনের সংখ্যাও অপ্রতুল। এতে করে সামান্য বৃষ্টিতেই চরম জলযট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নাগরিকদের এই দুর্ভোগ লাঘবে তেমন কোনো উদ্যোগও নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, লালমোহন পৌরসভা গঠনের পর ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে মূল শহর ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও পার্শ্ববর্তী ৪ নম্বর এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক এলাকায় ড্রেন নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের দিকে লালমোহন পৌরসভার আওতায় যুক্ত হয় আরও ৩টি নতুন ওয়ার্ড। বর্তমানে ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভার আয়তন বৃদ্ধি হলেও বাড়েনি ড্রেনের সংখ্যা। এছাড়া যেসব এলাকায় ড্রেন রয়েছে সেসব এলাকার ভূমি মালিকদের অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনের ওপর অবকাঠামো নির্মাণ এবং অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়ক উন্নয়ন করতে গিয়ে পৌর শহরের ভেতরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ করে ফেলে। যার জন্য সামান্য বৃষ্টিতেই জলযট সৃষ্টি হয়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায় পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা। এমনকি বাজারের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়ে পানি।
ভুক্তভোগী পৌরবাসী বলছেন, পৌরসভার আশপাশে ছোট-বড় বহু খাল ও জলাশয় থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। অনেক এলাকার বাসিন্দারা ঘর থেকে বের হতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার নয়ানীগ্রাম, স্বনির্ভর সড়ক, লালমনি সিনেমা সড়ক, বর্ণালী সড়ক, উকিলপাড়া, সবুজবাগ, গুচ্ছগ্রাম, হাজি নূরুল ইসলাম চৌধুরী সড়ক এবং হাসন হাওলাদার সড়কসহ আরও বেশ কয়েকটি সড়কের অবস্থা চরম বেহাল। বর্ষায় এসব এলাকার সড়কগুলো দিয়ে মানুষ হাঁটতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন। অন্যদিকে, ভাঙা সড়ক আর জলযটে নাগরিকদের ভোগান্তির পাশাপাশি ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নগর জীবন এখন ওষ্ঠাগত। ময়লা আবর্জনায় স্যাঁত স্যাঁতে অবস্থার জন্য পৌরশহরের বিনোদন মোড় থেকে কামারপট্টি হয়ে কাঁচা বাজার পর্যন্ত হেঁটে চলা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে লালমোহন পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ধ্বংস করার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে নাগরিকরাই দায়ী। পৌর এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসা-বাড়ির ময়লা আবর্জনা নিয়ে ড্রেনের মধ্যে ফেলে স্তূপ করে রাখেন। যার কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ থাকে এবং পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। তবে আমরা শীঘ্রই অকেজো ড্রেনগুলো সচলের উদ্যোগ নেব। এছাড়া আগামী বরাদ্দে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করব।