ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি 

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ২১ জুন ২০২৪

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি 

বন্যার কারণে ঘর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে অনত্র।

অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা,দুধকুমোর,ধরলা,ব্র ক্ষপুত্র সহ জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। শুক্রবার তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫০ সে. মি. আর ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ি পয়েন্টে ১৫ সে. মি প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে অন্যান্য নদীর পানি বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। 

কুড়িগ্রাম সদর,নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলা।পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার মানুষ। পানি বৃদ্ধির সাথে চলছে ব্যাপক ভাঙ্গন। নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বীজতলা, বাদাম ক্ষেত পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে ৫দিন থেকে। গ্রামীণ সড়কগুলি পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামীন সড়ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষজন ভেলা ও ডিঙ্গি নৌকায় চলাচল করছে। 

অন্যদিকে টানা বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম শহরে অধিকাংশ পাড়া মহল্লা পানিতে তলিয়ে গেছে। আজ ৫দিন থেকে দক্ষিন হাসপাতাল পাড়া,সদর হাসপাতাল সংলগ্ন কয়েকশবাড়ী ঘর তালতলা মুনসীপাড়া স্বাধীন পাড়া এলাকায় ঘরের ভিতরে পানি নিয়ে বসবাস করছে মানুষ। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা এত দুর্বল এবং দীর্ঘদিন থেকে ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় এবং ড্রেনের মুখে ময়লা আবর্জনা দিয়ে বন্ধ থাকায় পানি বের হতে পারছে না। সামান্য বৃষ্টিতে জেলা প্রশাসকের অফিস চত্বর জজকোর্ট এলাকা, ফায়ার বিগ্রেড এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। বর্তমানে পুরো শহর জলাবদ্ধতার কারণে সারা শহরের মানুষের অসোন্তষের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। পৌর মেয়রকে বলেও কোন কাজ হচ্ছে না এ কথা জানিয়েছেন একাধিক পৌরবাসী। কুড়িগ্রাম পৌরসবায় দুই লাখেরও বেশী মানুষ বাস করে।  

জেলা প্রশাসক মোহম্মদ সাইদুর আরিফ জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ১শ ৪৪ মে.টন জি আর চাল,১০ লক্ষ ৩৫হাজার টাকা বন্যা কবলিতদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪০৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৪টি স্প্রিড বোট,দুটি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য। 

কুড়িগ্রাম-আসনের সংসদ সদস্যা ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার বৃহষ্পতিবার যাত্রাপুর , পাঁচগাছি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত গ্রাম গুলো পরিদর্শন করেন। পানি বন্দী মানুষকে সহায়তার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ২৫দশমিক ৮৬ সে. মি, দুধকুমার নদীর পানি ২৯ দশমিক ৫৮ সে. মি, ব্রক্ষপুত্র নদের নুন খাওয়া পয়েন্টে ২৫ দশমিক ৩৩ সে. মি আর চিলমারী পয়েন্টে ২২দশমিক ৪৩ সে. মি ও তিস্তা নদীর পানি ২৯ দশমিক ২৫ সে. মি প্রবাহিত হচ্ছিল। 
 

 এসআর

×