ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রচার শেষ, কাল ভোট

​​​​​​​জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২৪, ১৯ মে ২০২৪

প্রচার শেষ, কাল ভোট

উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট বায়জিদ আহমেদ খানের মতবিনিময় সভা

দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার। রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রচার। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে গ্রহণ করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। খবর স্টাফ রিপোর্টার নিজস্ব সংবাদদাতাদের।

টাঙ্গাইল

দ্বিতীয় ধাপে কালিহাতী উপজেলা নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। কালিহাতী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মূলত আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সিদ্দিকী পরিবার আবির্ভূত হয়েছে। জম্পেশ লড়াই চলছে প্রচার মাঠে। টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে আলোচিত সিদ্দিকী পরিবারের ভাইদের ছোটজন শামীম আল মনসুর সিদ্দিকী ওরফে আজাদ সিদ্দিকী (আনারস) এবং আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লার (মোটরসাইকেল) নির্বাচনী লড়াই ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। উপজেলায় বাংড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসমত আলী নেতা (দোয়াত-কলম) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী থাকলেও তেমন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। আজাদ সিদ্দিকীর (আনারস) পক্ষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বেশ কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে ভাইয়ের জন্য ভোট চেয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সাবেক সদস্য সাবেক মন্ত্রী বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকী স্থানীয় সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নিলেও ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকীর প্রতি সমর্থন রয়েছে বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন।

উপজেলার রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, সিদ্দিকী পরিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো কালিহাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান আরও সুসংহত করতে চাইছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা সিদ্দিকী পরিবারের আধিপত্য রোধ করতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন।

কালিহাতীর রাজনীতিতে সিদ্দিকী পরিবারের বিশাল প্রভাব রয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ সিদ্দিকী (আনারস) জানান, কালিহাতীর প্রতিটি অঞ্চলের ভোটারদের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। প্রতিটি এলাকার মানুষ তার পাশে দাঁড়িয়েছেন।নিজের খেয়েস্লোগানে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। অবাধ, সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হওয়ার আশা রাখেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা (মোটরসাইকেল) উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পক্ষের নেতারা তার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। সাবেক সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান আনসার আলী, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসেরসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা আনোয়ার মোল্লাকে বিজয়ী করতে কাজ করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা (মোটরসাইকেল) জানান, নির্বাচনে তিনি দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে এক প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছেন- এটাও তার জন্য একপ্রকার বিজয়। তিনি উপজেলার জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে আছেন। এজন্য ভোটাররা তাকেই নির্বাচিত করবেন। কালিহাতী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান (টিউবওয়েল), আব্দুল্যাহ সরকার (চশমা), আব্দুল বারেক (উড়োজাহাজ), মাহমুদুল হাসান দীপুল (তালা) জমীর উদ্দিন আমেরী (বই) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীনা পারভীন (প্রজাপতি) উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফাতেমা খাতুন বৃষ্টি (ফুটবল)

বরিশাল

চেয়ারম্যান পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। বরিশালে এখন পর্যন্ত প্রচার, গণসংযোগ উঠান বৈঠকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।

প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন এসব নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। তারা সহজেই গ্রামের নারীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাদের মন জয় করছেন। ওয়াদা করাচ্ছেন ভোটকেন্দ্রে এসে নিজের মূল্যবান ভোটটি যোগ্য প্রার্থীকে দেওয়ার জন্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত প্রথম ধাপে জেলার দুটি উপজেলা নির্বাচনে পুরুষ ভোটারদের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। এর মুখ্য ভূমিকায় ছিল ওই দুটি উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে হিজলা উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা বেগম উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মুলাদী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসাম্মদ নাদিরা, মাকসুদা আক্তার সামিমা নাসরিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নালিতাবাড়ী, শেরপুর

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে হাজী মোশারফ হোসেনের ঘোড়া প্রতীক মোকছেদুর রহমান লেবুর আনারস প্রতীকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। ইতোমধ্যেই দুজনেরই নির্বাচনী প্রচার সমাপ্ত হয়েছে। মঙ্গলবার এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী হাজী মোশারফ হোসেন নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে মোকছেদুর রহমান লেবুর কাছে হেরে যান। পরবর্তী পাঁচ বছর তিনি এলাকার ভোটারদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখেছেন। কর্মী সমর্থকদের আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মী হাজী মোশারফ হোসেনের সমর্থনে উঠান বৈঠক নির্বাচনী পথসভা করে যাচ্ছেন।

ছাড়া তিনি উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব এতিমখানাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচুর দান-অনুদান দিয়েছেন। এলাকার ভোটাররা জানান, এবারের নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা তার দিকেই ঝুঁকছে। আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোকছেদুর রহমান লেবু বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে ভোটারদের পাশে রয়েছেন। ছাড়া তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাই এবারের নির্বাচনে দুজনেরই শক্ত অবস্থান রয়েছে। ভোটের মাঠেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে তাদের। তবে কে হচ্ছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তা মঙ্গলবার পরিষ্কার হয়ে যাবে। অপরদিকে, এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও দুই প্রার্থী রয়েছেন। একজন হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আছমত আরা আছমা। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে আছেন। আরেকজন হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী আমিনুল ইসলাম। তিনিও নির্বাচনী মাঠ কাঁপাচ্ছেন।

গাইবান্ধা

আগামী ২১ মে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার। প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে। মাইকে চলছে রেকর্ডিং করা ডিজিটাল প্রচার। চলছে জ্বল্পনা-কল্পনা, বেশ জোরেশোরে চলছে প্রচারণা। আর মাত্র একদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ  নির্বাচন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে। আর প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার জন্য ছুটছেন দ্বারে-দ্বারে। প্রচারণা করছেন, দিন-রাত সমানতালে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান (প্রতীক মোটরসাইকেল) সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সদ্য পদত্যাগকারী সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুল (প্রতীক আনারস) নির্বাচন কমিশন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সেনবাগ, নোয়াখালী

আগামী ২১ মে সেনবাগ উপজেলা নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, পথসভা মাইকিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে , পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বর্তমানে দুজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন এরা হচ্ছেন স্থানীয় এমপি মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপু আনারস মার্কা সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আবু জাফর টিপু দোয়াত কলম মার্কা।

অপর প্রার্থীদের মধ্যে সেনবাগ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাসান মঞ্জুর কাপ-পিরিচ মার্কা আবু জাফর টিপুর দোয়াত-কলম মার্কাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অন্য প্রার্থীরা কাউকে সমর্থন না করলেও নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত রয়েছে।

এরা হচ্ছে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এসএম জাহাঙ্গীর আলম মানিক টেলিফোন মার্কা, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী হেলিকপ্টার মার্কা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি সমবায় বিষয়ক সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপকমিটি সাবেক সহসম্পাদক একেএম জাকির হোসেন জুয়েল মোটরসাইকেল মার্কা।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কবির, এমপির স্থানীয় প্রতিনিধি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) কামাল উদ্দিন তালা প্রতীক, যুবলীগ নেতা এএফএম দিদারুল ইসলাম চশমা প্রতীক সেনবাগ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারী শাহরিয়ার আলমগীর আলো টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মহিলা (নারী) ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়াম সুলতানা কলস মার্কা, আমেনা খাতুন পদ্মফুল মার্কা, ফেরদাউস আরা রুপালী সেলাই মেশিন মার্কা, জাহানারা বেগম ফুটবল মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও  উপজেলা মহিলা লীগ নেত্রী রেজিয়া বেগম বকুল প্রজাপতি মার্কা, নিজ ভাই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কবিরকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

লালপুর, নাটোর

লালপুরে বিভিন্ন মোড়ে হাট-বাজারে চায়ের দোকান সেলুনসহ বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের মধ্যে নানান জল্পনা চলছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে দ্বিমুখী। এরা হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি (উড়োজাহাজ) আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম বাঘা (টিউবওয়েল) এই দুজন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। তবে কে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হবেন বিষয়ে মুখ খুলছেন না ভোটাররা। ছাড়া নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান মিল্টন (তালা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর

মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট বায়জিদ আহমেদ খানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সময় প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান শরীফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু গোপাল রায়, সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজ প্রমুখ। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী (দোয়াত-কলম) ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ দক্ষিণের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট বায়জিদ আহমেদ খান অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে সহযোগিতা কামনা করেন।

আদমদীঘি, বগুড়া

২১ মে মঙ্গলবার আদমদীঘি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রবীণ-নবীন মিলে দুইজন এবং বিএনপি ঘরানার এক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বগুড়া- আসনের সংসদ সদস্য খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাধনের বাবা সিরাজুল ইসলাম খান রাজু (আনারস প্রতীক) উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক আহ্বায়ক রাসেদুল ইসলাম রাজা মোটরসাইকেল প্রতীক। অপর প্রার্থী ছাত্রদলের সাবেক নেতা সান্তাহার পৌরসভার মেয়র পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর ভাতিজা কারিগরি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক তোফায়েল হোসেন লিটন (ঘোড়া প্রতীক। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে রাজু খান প্যানেলে রয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান পিন্টু বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা বেগম চাপা। এই প্যানলটির প্রচার প্রকাশ্যভাবে চলছে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে।

এদিকে রাজার কর্মী সমর্থকদের ভোটের মাঠে প্যানেলভিত্তিক প্রচার চালাতে দেখা গেছে। এই প্যানেলের অপর দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন উপজেলা যুব লীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান মন্টি যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইশরাত জাহান কুইন। এই দুই প্যানেলের মাঝে এককভাবে ভোটের মাঠে রয়েছেন বিএনপি ঘরানার প্রার্থী তোফায়েল হোসেন লিটন। লিটন তাঁর কর্মী-সমর্থকদের প্রত্যাশা যে, আওয়ামী লীগ ঘরানার দুই প্রার্থীর ভোট কাটাকাটির সুযোগে তার একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপির অতিসাধারণ কর্মী সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে, এমনটা সম্ভব হলে তার জয় ঠেকানো মুশকিল হবে বলে দাবি করছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা। তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শেষ পর্যন্ত মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগ ঘরানার দুই প্রার্থীর মধ্যে হবে বলে অভিন্ন মহলের অভিমত।

মাগুরা 

উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে মহম্মদপুর শালিখা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত  হবে। রবিবার রাতে নির্বাচনী  প্রচার  শেষ  হয়। ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে  ভোটাররা। প্রচারের শেষ দিনে প্রাথীরা গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় প্রচার চালান। এলাকা পোস্টারে নতুন চেহারা ধারণ করেছে। প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। চলছে মাইকিংও।  মহম্মদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে , ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অপরদিকে শালিখা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে , ভাইস চেয়ারম্যান পদে , মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

সৈয়দপুর, নীলফামারী

উপজেলায় আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী আজমল হক সরকার (আনারস), মোস্তফা ফিরোজ (টেলিফোন) মহসিন আলী রুবেল (হেলিকপ্টার) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী পরিবারের দেবর আজমল হক সরকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভাবি সানজিদা বেগম লাকি সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাথে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উদীয়মান নেতা মোস্তফা ফিরোজকে নিয়ে ভোটের মাঠে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির প্রয়াত সংসদ সদস্য এবং পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের ছেলে রিয়াদ আরফান সরকার রানা। খেসারত হিসাবে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া আসনে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রাথী এমপি সিদ্দিকুল আলমের নিজস্ব কোন প্রাথী নেই। তবে জাপার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ফয়সাল দিদার দিপু অংশ নিয়েছেন। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারুল ইসলাম (টিউবওয়েল), মহসিন মন্ডল মিঠু (চশমা) এবং শেখ আব্দুল্লাহ (তালা) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. সানজিদা বেগম লাকী (পদ্মফুল), সুমিত্রা রানী কনিকা (কলস) এবং মোস্তাফিজা হোসেন শিলা (প্রজাপতি)

 

 

 

 

×