
হেলে পড়া ভবন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলীর উত্তর সরাইপাড়া এলাকায় এবার হেলে পড়েছে একটি তিনতলা ভবন। কোনো ধরনের ফাটল বা স্ট্রাকচারাল ক্ষতি দৃশ্যমান না হলেও এর ফলে আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম। পার্শ্ববর্তী গয়না খালে খনন কাজ চালানোর কারণে ভবনটি ঝুঁকিতে পড়ে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাতেই ভবনটি কিছুটা হেলে পড়ে বলে জানিয়েছে পার্শ্ববর্তী ভবনের মালিক পক্ষ। দুটি ভবনের মাঝখানে ছয় ইঞ্চির মতো জায়গা ফাঁকা ছিল, যা এখন আর নেই। হেলেপড়া ভবনটিতে ছয়টি পরিবার বসবাস করছে। তাদের সতর্ক থাকতে বলা হলেও এখনো সরে যেতে বলা হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, ভবনটির পাশের গয়না খালে সংস্কার ও খনন কাজ চলছে। মাটি অপসারণ করায় এর ভিত্তি কিছুটা দুর্বল হওয়ায় সামান্য হেলে পড়েছে। তবে এ ভবনে কোনো ফাটল নেই, স্ট্রাকচারাল কোনো ক্ষতিও দৃশ্যমান নয়। সে কারণে এর বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়নি। বিশেষজ্ঞ টিমের পরিদর্শন শেষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উত্তর সরাইপাড়া এলাকার ভবনটির মালিক আমির উদ্দিন জানান, ২০০৬ সালে এ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশের ভবনটির সঙ্গে ছয় ইঞ্চির মত জায়গা ফাঁকা ছিল। এখন সেই গ্যাপটুকু আর নেই। এ ব্যাপারে তারাও ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছেন। যে নির্দেশনা তারা দেবেন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পার্শ্ববর্তী ভবনের মালিকপক্ষ জানিয়েছে, রাতে মনে হয়েছে যে, পাশের ভবনটি তাদের ভবনের দিকে হেলে পড়েছে। অনুমান করতে পেরে রাতেই তারা ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করেছেন। পাশের ভবনটি হেলে পড়ায় তারা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম মহানগরে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় খাল ও বড় বড় নালাগুলোর সংস্কার এবং খননের কাজ চলছে। এ কাজের কারণে এর আগেও আরও বেশ কয়েকটি ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে যে ভবনগুলো একেবারে খালঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে সেগুলো রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। আবার নকশা অনুমোদন ছাড়া নির্মিত অনেক ভবনও রয়েছে। অনেক বাড়ির মালিককে নোটিশও দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। তবে খনন কাজের সময় যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধও রয়েছে নগরবাসির পক্ষ থেকে।
এম হাসান