ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ভবিষ্যৎমুখী বিধান সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে 

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভবিষ্যৎমুখী বিধান সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে 

শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী পলক

সাংবাদিক অথবা শিল্পী-সাহিত্যিকদের জন্য মুক্তমত প্রকাশে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাধা বা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মতো দেশের অন্যতম প্রধান এবং ভবিষ্যৎমুখী বিধান সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। সাইবার আক্রমণ রোধ ও রাষ্ট্রীয় তথ্য পরিকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাত্র চারটি ধারাকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। আর অন্য সব ধারাকে প্রধানমন্ত্রী জামিনযোগ্য করে দিয়েছেন। 

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সাইবার নিরাপত্তা আইনে হয়রানির উদ্দেশে মিথ্যা মামলা যদি কেউ করে আর সেটা যদি প্রমাণ হয়, তাহলে বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূরণ করতে চান, সে বাংলাদেশ হবে প্রগতিশীল, উদার এবং সৃজনশীল। এ আইন স্বাধীন মত প্রকাশে কোনো বাধাও হবে না, মনস্তাত্ত্বিক চাপও থাকবে না। প্রতিমন্ত্রী এর আগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের দুর্লভপুরে সাততলা বিশিষ্ট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ৮০ কোটি টাকায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দ্রুত বিশ্বের পরিবর্তনের ফলে দেশের ছেলেমেয়েরা পাঁচ থেকে ১০ বছর লেখাপড়া শেষে কর্মক্ষেত্রে যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। তাদের যুগোপযোগী করতেই সজীব ওয়াজেদ জয় আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের নির্দেশনা। এখানে তিন মাসের সার্টিফিকেট কোর্স, ছয় মাসের শর্ট কোর্স এবং ১২ মাসের ডিপ্লোমা কোর্সের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। এর আগে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির।

এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফর উল্লা, প্রকল্প পরিচালক আতিকুর রহমানসহ সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এস

×