ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রামগঞ্জে সড়কের ১০ স্পটে ক্ষত

নিজস্ব সংবাদদাতা, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২২:৩০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রামগঞ্জে সড়কের ১০ স্পটে ক্ষত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে খানাখন্দে ভরা সড়ক

রামগঞ্জ পৌর শহরে সড়কের দশটি ক্ষুদ্রতম স্পটে জন ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বছরের পর বছর ধরে স্থানগুলোতে পানি জমে, খানাখন্দে যানবাহনসহ  হেঁটে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়ছে। 
পৌরবাসীর জন্য স্পটগুলো এখন বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছেন। ফলে, পৌর এলাকায় বসবাসকারী এক লাখ লোকসহ উপজেলা পরিষদ, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাটবাজারসহ প্রয়োজনীয় কাজে আসা উপজেলার সাড়ে ৪ লাখ লোক প্রতিদিন এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সড়কের স্পটগুলো হলো- রামগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদে সড়কের সঙ্গে সংযোগস্থল, রামগঞ্জ হাজীগঞ্জ সড়কের  মেডিকা হসপিটালের সামনের অংশ, কাজী হোটেলের সামনে অংশ, চিতোষী রোডের এশিয়ান স্কুলের সামনের অংশ, রামগঞ্জ-সোনাপুর ও রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের নন্দনপুর পাটবাজর সংযোগ সড়ক, কলাবাগান ব্রিজের পাশের সংযোগ সড়ক, সোনাপুর হরিসভা সংলগ্ন বাঁশঘর সড়কের সংযোগস্থল, ওয়াপদা সড়কের থানার  পেছনের অংশ ও সোনাপুর বাজার ওয়াপদা মোড়, থানার সামনে বাইপাস সড়ক।  

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, রামগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দুই সড়কের সংযোগস্থলে বিশাল একটি গর্ত, অর্ধহাঁটু পরিমাণ পানি জমে আছে। পার্শ^বর্তী স্কুলের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন এই পানি ডিঙ্গিয়ে স্কুলে যেতে হয়। রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের মেডিকা হসপিটালের সামনের  সড়কের দু’পাশজুড়ে সিএনজি স্ট্যান্ড, সড়কের ১শ’ ফুটের মধ্যে  প্রায় ২০ থেকে ২৫ গর্ত । এ সড়ক দিয়ে দিনরাত  ছোটবড় হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন, আনোয়ার হোসেন, চাকরিজীবী রাশেলসহ অনেকে বলেন, সড়কজুড়ে সিএনজি স্ট্যান্ড থাকায় ও খানাখন্দের কারণে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে।

এ ছাড়াও চিতোষী সড়ক, নন্দনপুর সংযোগ সড়কসহ সব স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যাগুলোতে জনভোগান্তি ব্যাপকভাবে দেখা যায়। নন্দনপুরের ব্যবসায়ী লিটন পাটোয়ারী, কলাবাগান ব্যবসায়ী নুর হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমানসহ অনেকে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানগুলোর সমাধান করে দিতে পারে।  পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা  মোস্তফিজুর রহমান জানান, সমস্যারগুলোর কথা মেয়রসহ আমরা অবগত। গত মাসিক সভায় এ বিষয় উপস্থাপন হয়েছে। শীঘ্রই  সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।

লালপুরে মরণফাঁদ
নিজস্ব সংবাদদাতা, লালপুর, নাটোর থেকে জানান, লালপুর উপজেলার গোপালপুর-আব্দুলপুর সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় পিচ ও পাথর উঠে ছোটবড় গর্ত সৃষ্টির কারণে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আর একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। ফলে যানবহনের চালক ও যাত্রীরাসহ পথচারীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। এছাড়া বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণে ছোট-বড় গতগুলো বোঝার উপায় থাকে না। এতে ছোট ও বড় যানবহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীরা। ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বৃষ্টি হলে সড়কের ছোট-বড় গর্ত বোঝার উপায় থাকে না। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। 
এ ছাড়া কয়েকদিন পরপর ভ্যান মেরামত করতে হয়। ফলে আর্থিক সংকটে পড়তে হয়। অটোরিক্সা চালক শাহ্ আলম বলেন, সড়কের ছোট ও বড় গর্তের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মাহাববুল হক বলেন, গোপালপুর রেলগেট থেকে আব্দুলপুরের করিমপুর রেলগেট পর্যন্ত সড়কের নির্মাণ কাজের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

×