ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

খানাখন্দে ভরা সখীপুর সাগরদীঘি সড়ক

​​​​​​​নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ২৭ আগস্ট ২০২৩

খানাখন্দে ভরা সখীপুর  সাগরদীঘি সড়ক

সখীপুর-সাগরদীঘি সড়ক পানি-কাদায় একাকার। খানাখন্দগুলো রূপ নিয়েছে ডোবায়

একে তো খানাখন্দে ভরা, তার ওপর বৃষ্টিতে পানি-কাদায় একাকার সড়ক। খানাখন্দগুলো রূপ নিয়েছে বড় গর্তে। ফলে যানবাহন চলছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে দুর্ভোগ সয়ে চলছে হাজারো মানুষ। চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহন। এমন চিত্র সখীপুর-সাগরদীঘি পৌর শহরের খাদ্য গুদাম, কচুয়াবাজার, বড়চওনা বাজার, ঘোনারচালা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে। সখীপুর-সাগরদীঘি সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট-সুরকি উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দের। খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। সড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

তবে সড়কটি সড়ক জনপথ বিভাগের আওতায় হওয়ায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী। সড়ক জনপথ বিভাগের মির্জাপুর অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার  হোসেন জানান, সখীপুর-সাগরদীঘি সড়কটি তিন লেনে উন্নীত করার জন্য ইতোমধ্যে ডিপিপি (ডেভেলমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইলতৈরির প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ভোগ কমাতে খানাখন্দ অংশে জরুরি মেরামত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

কেন্দুয়ায় সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগ

সংবাদদাতা কেন্দুয়া, নেত্রকোনা থেকে জানান, কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রামপুর বাজার-ময়মনসিংহ সড়ক দিয়ে কেন্দুয়া, মদন গৌরীপুর উপজেলার একাংশের মানুষ চলাচল করে। এই সড়কের বৌখেরহাটি বাজারের পশ্চিম অংশ থেকে শাহগঞ্জ পর্যন্ত সংস্কারের অভাবে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তার কারণে চলাচলকারী যানবাহনের চালক পথচারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। সড়কে যানবাহন বাড়লেও সেই তুলনায় সড়কটি প্রশস্ত হয়নি, ফলে ১৫ মিনিটের রাস্তা যেতে ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে ট্রাক, অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহন। বৌখেরহাটি বাজারটি কেন্দুয়া উপজেলার অন্যতম বড় প্রাচীন বাজার। অঞ্চলটি কৃষি প্রধান হওয়ায় পণ্যসামগ্রী বাজারে আনা-নেওয়ায় বিপাকে পড়ছেন কৃষক ব্যবসায়ীরা। অসুস্থ হলে রোগীকে এই রাস্তা দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

অটোরিক্সা চালক অন্তর মিয়া বলেন, রাস্তাটি যেখানে সেখানে ভেঙে যাওয়ায় চলাচল করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এবং যানবাহন জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় শিক্ষক ফরিদ আহমেদ জানান, রাস্তাটি সরু খানাখন্দে ভরা, যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে আসা-যাওয়া করা যাচ্ছে না, রাতের বেলায় যানবাহন পাওয়া যায় না। দলপা ইউপির চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া জানানকেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলীকে রাস্তার বিষয়ে অবগত করা হলেও আজও সংস্কার হয়নি। রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরি। তবে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন জানান, ওই রাস্তায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। 

 

 

 

×