
সুগন্ধা নদীতে ক্ষতিগ্রস্থ ‘সাগর নন্দিনী-২’
ঝালকাঠির পদ্মা-মেঘনা পেট্টোলিয়াম ডিপো সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে ‘সাগর নন্দিনী-২’তে পরপর দুটি বিস্ফোরিত অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সোমাবার রাতের ঘটনারপর টানা ১৩ ঘন্টা ধরে ‘সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজের জ্বালানী পুড়েছে। একাধীক ফায়ার ইউনিট জেলার ফোম ক্যামিকেল ব্যবহার করেছে। বর্তমানে ওটি ‘সাগর নন্দিনী-২’ পানি জাহাজের পানি ডুকে ডুবে যাবার উপক্রম হয়েছে।
বুধবার প্রশাসন,কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, জাহাজটির বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে জাহাজ থেকে পানি তুলে ফেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঝালকাঠিকে। বিকেল সাড়ে ৪টায় পানি অপসারণের কাজ শুরু করেছে ফায়ার ফাইটার দল। জাহাজে জ্বালানী পুড়ে যাওয়ার পরও ১টি ভাঙ্কারে জ্বালনী রয়েছে মর্মে ধারণা করছে এই সকল উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ঝালকাঠির পদ্মা পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশনে ডিপো সূত্রে জানা গেছে ওটি সাগর নন্দিনী-২ গত ২৬ জুন চট্রগ্রাম ডিপো থেকে ঝালকাঠি ডিপোর জন্য ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৪৪ লিটার ডিজেল, ৪ লক্ষ ৬ হাজার ২৪৯ লিটার পেট্টোলসহ ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৩ লিটার জ্বালানী নিয়ে আসে। ২৮ জুন ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে নোঙ্গর করে। ঈদের ছুটি থাকায় ডিপোতে আনলোড করা সম্ভব হয়নি। ৩০ জুন ডিপোর বার্ষিক অডিট হয় এবং ওডিট পরিচালনাকারী জিএম ডিপোর বিভিন্ন ট্যাকের জ্বালানী পরিমাপ করে পরবর্তী জ্বালানী গ্রহনকরার নির্দেশ দেন। এই সময়ের মাঝে ১ জুলাই প্রথমবারে মতো মেশিন রুম থেকে বিস্ফোরিত হয়ে মাস্টার ব্রিজ উড়ে নদীতে পরে যায় এবং মেশিন রুমে আগুন লাগে। এই ঘটনায় ৫জন আহত ও ৪জনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে সোমবার একই জাহাজে তেল অপসারনকালে দ্বিতীয়বার আগুন লাগে। এই ঘটনায় জ্বালানী তেল পুড়ে যায়।
প্রথম ঘটনার পরে ডিজেল অন্য জাহাজে স্থানান্তর করছিল ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৮ লিটার ও ২লক্ষ ২৫ হাজার লিটার ডিজেল অপসারন করা হয়। ওটি সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে থাকা ৪ লক্ষ ৬ হাজার ২৪৯ লিটার পেট্টোলের মধ্যে ২০ হাজার পেট্টোর অপসারন করার পরপরই এই দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে। এখন জাহাজের মধ্যে পুড়ে যাওয়ার পর কি পরিমান জ্বালানী রয়েছে তাহা নিশ্চিত করা যায় নাই। এই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ, ডিপো কর্মকর্তাদের বক্তব্য এবং জাহাজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে কোন মিল ছিল না। যে কারণে জেলা প্রশাসন বিভ্রন্তির মধ্যে ছিল।
এমএস