
কোরবানির সামনে মহাস্থান গরুর হাট জমজমাট
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গবাদিপশুর খামারগুলোতে ২২ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে খামার থেকে কেনা যাবে এসব পশু। অনেকে আবার কোরবানির পশুর হাটেও বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনলাইনে বেচা-কেনার কথাও বলছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
ঝালকাঠিতে কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার। জেলায় ছোট-বড় ১৬১৮টি খামার রয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে গরু, মহিষ ও ছাগলের বাচ্চা কিনে প্রায় ৯ মাস ধরে লালন- পালন করছেন খামারিরা। শুধুমাত্র খৈল, ভুসি, ভাত, ভাতের মার, খড়কুটা ও কাঁচা ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে তাদের মোটাতাজা করা হয়েছে। কোরবানিকে সামনে রেখে খামারের প্রায় সব পশুই বিক্রির উপযোগী। খামারে ১৪ হাজার গরু, মহিষ দুই হাজার, ছাগল ছয় হাজারসহ ২২ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাহেব আলী জানিয়েছেন, জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানির পশুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং পশুর খামারগুলো বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে ভারতের সীমানা দিয়ে অবৈধভাবে গরু প্রবেশ যেন না করতে পারে, সেই দাবি জানিয়েছেন খামারিরা।
কক্সবাজারে বসছে ৯০ পশুর হাট
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, আগামী ২৯ জুন পবিত্র কোরবানির ঈদে জেলায় এবারে ছোট-বড় ৯০টি কোরবানির হাট বসছে। এর মধ্যে ৪৮টি স্থায়ী হাট এবং ৪২টি বসছে শুধু কোরবানির ঈদ উপলক্ষে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তা বিবেচনায় এবার ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।
এদিকে বাজারে কোরবানির পশু পরীক্ষার জন্য প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে পশু টেস্ট মেডিক্যাল টিম থাকছে। জালনোট শনাক্তকরণে বাজারে থাকছে বিশেষ জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন। ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে এবং ক্রেতা- বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।
কোরবানির বাজারে নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, কোরবানির পশুর হাটের নানা বিষয় নিয়ে প্রস্তুতি সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রতিটি বাজারে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ৯০টি পশুর হাট বসছে যার মধ্যে সদরে ১৭টি, রামুতে ১৫টি, চকরিয়ায় ২০টি, পেকুয়ায় ৮টি, উখিয়ায় ৮টি, টেকনাফে ১৩টি, মহেশখালী ৯টি, কুতুবদিয়ায় ৬টি।
রংপুরে রবি-বুধু কিনলে মোটরসাইকেল ফ্রি
নিজস্ব সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, রবি ও বুধবারে জন্ম তাদের। তাই গরুর প্রতি ভালোবাসা থেকে মালিক ডাকেন ‘রবি’ ও ‘বুধু’ নামে। বিশাল আকৃতির রবি ও বুধুর ক্রেতার জন্য লোভনীয় উপহার ঘোষণা করেছেন তাদের মালিক। একসঙ্গে রবি-বুধুকে কিনলে ফ্রিতে দেওয়া হবে পালসার ব্র্যান্ডের একটি আকর্ষণীয় মোটরসাইকেল। রংপুর মহানগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মীরগঞ্জের তালুক তামপাট এলাকার খামারি রফিকুল ইসলাম সরকার। তার খামারে পরম যতেœ বেড়ে উঠেছে ফ্রিজিয়ান জাতের রবি ও বুধু। রবির বর্তমান ওজন ২৫ মণ, আর এক বছরের বড় বুধুর ওজন আরও একমণ বেশি। তাদের মালিক এই গরু দুটির দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ করে। ৩০ লাখে তাদের কিনলে সঙ্গে একটি মোটরসাইকেল ফ্রি দেওয়ার অফার দিয়েছেন খামারি রফিকুল ইসলাম সরকার।
পীরগঞ্জে হাটে ক্রেতাদের ভিড়
নিজস্ব সংবাদদাতা পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে পীরগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে পশুর হাটে দিন দিন ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। পশু কোরবানিতে এ বছর স্থানীয়/দেশী গরুর কদর বাড়ছে। ক্রেতারা বিশেষ করে মাঝারি আকারের স্থানীয় গরুর প্রতি ঝুঁকছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় ২৭ হাজার গরুর চাহিদা থাকলেও সংরক্ষণ বেশি রয়েছে। ফলে পশু কোরবানিতে এ বছর এ উপজেলায় সংকট নেই। উপজেলার জাবরহাট, বৈরচুনা, নসিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ কলেজ বাজার, লোহাগাড়া বাজার ও কালুপীর পশুর হাটে গরু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
বুধবার পীরগঞ্জ জাবরহাটে অসংখ্য পশু দেখা গেছে। গত বছরের তুলনায় গরু, ছাগল ও মহিষের দাম কিছুটা বেশি। তাজপুর গ্রামের গরু খামারি নজরুল ইসলাম জানান, গোখাদ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং গরুর পরিচর্যার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে গরুর দাম কিছুটা বেশি। তারপরও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।