ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চাঞ্চল্যেকর আদিল হত্যার রহস্যে উদঘাটন, গৃহ শিক্ষক গ্রেফতার

সংবাদদাতা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ২৪ মে ২০২৩

চাঞ্চল্যেকর আদিল হত্যার রহস্যে উদঘাটন, গৃহ শিক্ষক গ্রেফতার

গৃহ শিক্ষক গ্রেফতার

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায়  ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী  আদিল মোহাম্মদ সোহান (৮) চাঞ্চল্যেকর হত্যাকান্ডের রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে। 

সোহানের গৃহশিক্ষক এসএসসি পরীক্ষার্থী আ: আহাদ (১৮) মুক্তিপণ আদায়ের আশায় সোহানকে প্রথমে অপহরণ ও পরে হত্যা করে। বুধবার পুলিশের দেয়া এক প্রেসব্রিফিংয়ে চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-বিহীন এই হত্যা মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে অবহিত করেন।

সোহানের লাশ উদ্ধারের পর চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ ( অপরাধ) এর নেতৃত্বে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মান্নান,  ওসি(তদন্ত) প্রদীপ কুমার মন্ডল, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামাল, এস আই রুবেল ফরাজী ও এএস আই আবু নাঈম টানা ৫ দিন পরিশ্রম করে এই হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচন করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহান নিঁেখাজ হয়। পরে তার বাবা আনোয়ার হোসেন পরদিন থানায় জিডি করেন। নিখোঁজের ৪দিন পর গত ১৯মে শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সোহানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে ওইদিনই সোহানের পিতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আসামী হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করতে পারেনি।

পুলিশ ঘটনার তদন্তের এক পর্যায়ে সোহানের গৃহশিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার্থী আ: আহাদকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আ: আহাদ (১৮) তার নিজ হাতে ওই শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশের কাছে সে জানায়, ভারতীয় টিভি সিরিয়াল সিআইডির দেখে সে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল দেখে অনুপ্রাণিত হয়। ঘটনার দিন ১৫মে মাগরিব নামাজের পর সোহান বাড়ি ফেরার সময় তাকে অপহরণ করে পাশ^বর্তী নার্সারীতে নিয়ে মুখ ও গলা চেপে ধরলে সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে আহাদ তার মায়ের মুঠো ফোনে নতুন সীমকার্ড দিয়ে সোহানের মা ফাতেমা বেগমের মুঠো ফোনে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য কল করে। কিন্তু কল রিসিভ না করায়, সে ফিরে গিয়ে সোহানের নিস্তেজ দেহ দেখে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে তার মরদেহ নার্সারীতে ফেলে রাখে। পরে সেও সোহানের পরিবারের অন্য সদস্যের মতো সোহানকে খুঁজতে বের হয়। রাত গভীর হলে তার চাচীর রান্না ঘর থেকে হাত দা নিয়ে বাড়ির পাশের একটি জমিতে গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেয় সোহানকে। পরবর্তী সে নতুন সীমকার্ডটি পুকুরে ফেলে দেয়।

 এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আ: মান্নান জানান, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ এর নেতৃত্বে আমরা থানা পুলিশ ৫দিনের পরিশ্রমে ক্লুলেস এই হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছি। অপরাধী কিশোর আ: আহাদকে গ্রেফতার এবং মামলার ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×