ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা বিক্রির আশাবাদ

লিচুর জেলা দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলন

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ২৩ মে ২০২৩

লিচুর জেলা দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলন

লিচুর জন্য বিখ্যাত দিনাজপুর

লিচুর জন্য বিখ্যাত দিনাজপুর। দেশের সেরা লিচু উৎপন্ন হয় এ জেলায়। তবে লিচুর রাজ্যে এবার আমেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে ঝুলছে সবুজ আম। এবার জেলায় প্রায় সাড়ে চারশ কোটি টাকার আম বিক্রির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দিনাজপুর জেলার সদর, বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ, খানসামাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গাছে গাছে ঝুলছে আম। গতবছরের চেয়ে এবার গাছে ফল এসেছে অনেক বেশি। গাছগুলো যেন আমের ভারে নুয়ে পড়েছে। তীব্র গরমের পর বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠছে আম। বিরল উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম। সবমিলিয়ে পাঁচ শতাধিক আ¤্র্রপালি জাতের আমের গাছ রয়েছে তার বাগানে।

আমের ভারে নুয়ে আছে প্রায় সব গাছ। আশাতীত ফলনে খুশি তিনি। তিনি বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার ফলন বেশি হয়েছে। আমার বাগানে আ¤্র্রপালি ছাড়া অন্য কোনো আম নেই। দাম ভালো হলে ৩-৪ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারব।’ বীরগঞ্জ উপজেলার চকপাতলা এলাকার আমচাষি মাজেদুর রহমান বলেন, ‘১৬ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছি। গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ আম হয়েছে। তবে দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় আম আকারে কিছুটা ছোট। আশা করছি এবার সব মিলিয়ে ১০-১২ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারব।’ মাজেদুর রহমানের বাগানে গোপালভোগ, ফজলি, সূর্যাপুরি, হাজীপুরি, ল্যাংড়া জাতের আম রয়েছে।

একই উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন। তিনি চার একর জমিতে বারি-৪, আ¤্র্রপালি, হাড়িভাঙ্গা, হিমসাগর, মিছরিভোগ, গোপালভোগ, গুটি ও সূর্যাপুরি জাতের আমচাষ করেছেন। এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে তিনি খুশি। তবে দাম কেমন পাবেন তা নিয়ে চিন্তিত এ চাষি। তিনি বলেন, ‘অন্য জেলার আমে দিনাজপুর সয়লাব হয়ে গেছে। দিনাজপুরের আম বাজারে আসতে আরও ১০-১২ দিন সময় লাগবে। তখন আমের দাম পড়ে যেতে পারে।’ সদর উপজেলার নশিপুর এলাকার ধামু নামে একজন সাঁওতাল আদিবাসী এক একর জমিতে আমচাষ করেছেন। ফজলি, হাজীপুরি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, আ¤্র্রপালি জাতের আমচাষ করেছেন। তার বাগানে শতাধিক গাছ রয়েছে।

নতুন বাগানে ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছেন এক লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন।  দিনাজপুর থানা মোড় ফল বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, ‘এবার দিনাজপুরে দ্বিগুণ আম হয়েছে। আমের কোনো ঘাটতি হবে না। এবার বাগানিরা লাভবান হবেন। আমরাও দেশের বিভিন্ন স্থানে আম পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ আরেক ব্যবসায়ী সলেমান আলী বলেন, ‘আমের পাইকাররা আসতে শুরু করেছেন। তারা বাগান ঘুরে দেখছেন। আশা করা যাচ্ছে বাজার ভালোই পাওয়া যাবে। ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো আম পাওয়া যাবে না।’ দিনাজপুরে আ¤্র্রপালি, হিমসাগর, মিছরিভোগ, বারি-৪, গোপালভোগ, গুটি, হাড়িভাঙ্গাসহ বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। আবহাওয়াজনিত কারণে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম দিকে প্রখর রোদের কারণে কিছু আম ঝরে পড়েছে।

×