ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে রেণুপোনা উৎপাদনে এবারও রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস

প্রকাশিত: ০০:২৬, ২২ মে ২০২৩

যশোরে রেণুপোনা উৎপাদনে এবারও রেকর্ড

বিক্রির জন্য হ্যাচারি থেকে পোনা তোলা হচ্ছে

মাছের রেণুপোনা উৎপাদনে যশোর জেলা এবারও দেশে লিড দেবে। প্রচ- তাপদহ কেটে বহু প্রত্যাশিত বৃষ্টির দেখা মেলায় বাম্পার উৎপাদনের আশা করছে হ্যাচারি মালিক ও মৎস্য বিভাগ। এবার পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন বা এক লাখ কেজি। এই পরিমাণ দেশের মোট রেণুপোনার চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ। মাছ ভেদে প্রতি কেজি তিন থেকে চার লাখ কেজি পোনা উৎপাদন হয়ে থাকে। রেণুপোনার হ্যচারির উৎপাদন আর ভোর থেকে দেশের নানা প্রান্তের ব্যবসায়ীদের আনোগোনায় রীতিমতো জমে উঠেছে শহরের চাঁচড়ার মৎস্যপল্লী।

যশোরের হ্যাচারিগুলো রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাসকার্প, বিগহেড, থাইসরপুটি, মিরর কার্প, জাপানি, চিতল, আইড়, তেলাপিয়া, মনোসেক্স তেলাপিয়া, শিং, কৈ, থাই কৈ, পাঙ্গাশ প্রভৃতি মাছের পোনা উৎপাদন করে থাকে। নতুন জি-থ্রি রুই আশার আলো ছড়াচ্ছে মৎস্য খাতে। এর উৎপাদন অন্যান্য রুই মাছের চেয়ে অনেক বেশি বলে চাষিদের আগ্রহও অনেক বেশি এই মাছ নিয়ে। ওয়ার্ল্ড ফিস নতুন জাতের এ রুইয়ের পোনা বাজারে এনেছে। যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি ও ফাতিমা হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী ফিরোজ খান জানান, যশোরে গত বছর আমরা এক লাখ ২০ হাজার কেজি রেণুপোনা উৎপাদন করেছিলাম। 
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, সারাদেশের মধ্যে যশোরের রেণুপোনার মান অত্যন্ত উন্নত। এ জন্য এখানকার উৎপাদিত রেণুর চাহিদা সারাদেশে রয়েছে। নতুন জাতের জি-থ্রি আমাদের মাছের চাহিদা পূরণে ভালো ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করছি রেণুপোনা উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন করে দেশের মাছের চাহিদা পূরণে যশোর বরাবরের মতো লিড দেবে।

×