ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নোমান-রাকিব হত্যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা বহিষ্কার 

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর 

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ৪ মে ২০২৩

নোমান-রাকিব হত্যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা বহিষ্কার 

দেওয়ান ফয়সাল ও  আরমান হোসেন 

লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান ফয়সাল ও সদস্য আরমান হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুরে জেলা যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাদের দুইজনকে বহিষ্কার করা হয়। 

গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

নোমান-রাকিব হত্যাকান্ড মামলা ৩০ এপ্রিল রাতে আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরেরদিন সোমবার (১ মে) ঠাকুরগাঁও থেকে দেওয়ান ফয়সালকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে মঙ্গলবার ২ মে লক্ষ্মীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ফয়সাল। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত  দ’ুজনই জেলা কারাগারে রয়েছেন। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৫ এপ্রিল রাতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যাকান্ডে ফয়সাল ও আরমানের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের গঠনতন্ত্রের ৩৪ ধারার (ট) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

আদালতে দেওয়ান ফয়সালের দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে তার মোবাইল ফোনে এক ব্যক্তির কল আসে। তখন তাকে বলা হয়, নোমানকে মারতে হবে। পরে তিনি (ফয়সাল) মোটরসাইকেল নিয়ে বশিকপুরের নাগেরহাট যান। সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে হত্যাকান্ডে ঘটনাস্থল গিয়ে অন্যদের সঙ্গে মিলিত হন। ওই ঘটনায় সবাই অস্ত্রধারী ছিলেন। পরে নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। 


 

 

এমএস

×