
প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের নকশা
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সৈকত রানীকে সাজাতে এই উন্নয়ন যজ্ঞ চলছে। সমুদ্র ছুঁয়ে বড় আকারের উড়োজাহাজ বিমান ওঠানামা করতে সমুদ্রের দুই হাজার ২০০ ফুট অংশে নির্মাণ হচ্ছে রানওয়ে। দেশী-বিদেশী পর্যটক এসব উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ এবং আকৃষ্ট হচ্ছে কক্সবাজারের প্রতি।
খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি পাঁচতলা ভবনে এরমধ্যে ঠাঁই হয়েছে প্রায় ৬০০ পরিবারের।
তাদের মধ্যে বেশির ভাগ শুঁটকি শ্রমিক, জেলে, ভিক্ষুক, রিক্সা ও ভ্যানের চালক। পাঁচতলা ভবনের প্রতিটিতে ৬৫০ বর্গফুট আয়তনের ৩২টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০ লাখ টাকা দামের প্রতিটি ফ্ল্যাটবাড়ির মালিক হতে একেকটি পরিবারের খরচ হয়েছে মাত্র এক হাজার এক টাকা করে। এ টাকাও রেজিস্ট্রি কাজে ব্যয় হয়েছে। মাত্র এক হাজার এক টাকায় ফ্ল্যাটবাড়ির মালিক হওয়ার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। এটি গরিবের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দরদ ও আন্তরিকতার কারণে সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুখী-সমৃদ্ধ ছোট পরিবার এবং ঠিকানাবিহীন কোনো লোক থাকবে না দেশে। তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাইনামিক নেতৃত্বে আজ দরিদ্রতম রাষ্ট্র থেকে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণকাজ, খুরুশকুল শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প, রেললাইন প্রকল্প ও মাতারবাড়ি তাপভিত্তিক কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও ৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্রবন্দর, হাইটেক পার্ক, মেরিন ড্রাইভ সড়ক চার লেন উন্নয়ন প্রকল্প, বিদেশী পর্যটকদের জন্য আলাদা জোন তৈরি, এলএনজি টার্মিনাল, এসপি এম প্রকল্প, সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র ও কক্সবাজারে অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরসহ ৭৭টি মেগা প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা। কক্সবাজার বিমানবন্দরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।
শেষ হয়েছে ১০৫ একর ভূমি উন্নয়নের কাজ। কক্সবাজারে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৭টি মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এছাড়াও প্রকল্পের বিভিন্ন অবকাঠামোর কাজ শেষপর্যায়ে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ছয়শ’ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালের জুনে আরও ছয়শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
বিশেষ করে কক্সবাজার একসঙ্গে চলছে চারপাশে দুই কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজও। এজন্য ফেলা হচ্ছে ৩০০ কেজি ওজনের বোল্ডার ও চারটন ওজনের সিসি ব্লক। এ প্রকল্পটির পরিচালক জানিয়েছেন, এরমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে।
মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। চলতি ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ প্রকল্পটির ৮৮ শতাংশ কাজ এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
দুটি জেটির কাজ শেষ হওয়ায় সেখানে কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়তে পারবে। নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ২০১৭ সালের আগস্টে সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) এ প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে।