ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

দেশ এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ২৬ মার্চ ২০২৩

দেশ এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়

.

জনকণ্ঠ ডেস্ক নানা আয়োজনে সারাদেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার প্রত্যুষে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। এর পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টার নিজস্ব সংবাদদাতাদের।

চট্টগ্রাম

সরকারি, আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। উপলক্ষে আয়োজিত সভা থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি সুখী সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় শপথ উচ্চারিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন জেলা প্রশাসনের আয়োজন ছিল বেশ বর্ণাঢ্য। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ডিসপ্লে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সময় নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার . আমিনুর রহমান, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন, বিভাগীয় পাসপোর্ট ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় জেলা পরিবারপরিকল্পনা দপ্তর, রেলওয়ে পুলিশ, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা মহানগর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, নৌ-পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, এপিবিএন, সিআইডি, আনসার ভিডিপি, পরিবেশ অধিদপ্তর, সড়ক জনপথ বিভাগ, শিশু একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, খাদ্য বিভাগ, সমাজসেবা কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি  প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে নেতারা শহীদ মিনারে পূষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, একাত্তরের-ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগেও দিনটি যথাযোগ্য কর্মসূচি মাধ্যমে পালন করা হয়।

বন্দরের সকল জাহাজে জাতীয় পতাকা মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়োজন ছিল বেশ বর্ণিল। সকালে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের নেতৃত্বে কর্মকর্তারা বন্দর রিপাবলিক ক্লাব প্রাঙ্গণের শহীদ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেট ইউনির্ভাসিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা, ইস্টার্ন রিফাইনারিসহ সব ধরনের সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বিস্তারিত আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।

রাজশাহী

রাজশাহীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় রবিবার মহান স্বাধীনতা জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সংস্থা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। রাজশাহী জেলা মহানগর আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক পেশাজীবী সংগঠন দিবসটি উদযাপন করে।

সকালে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনেজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পৃথকভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

বরিশাল

রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা পুলিশ লাইন্সে তোপধ্বনি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ এবং ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বিপিএম বার।

পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে কুচকাওয়াজ শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে অভিবাদন গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার।

সিলেট

প্রথম প্রহরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  সময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ মানুষের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সর্বপ্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা মহানগর ইউনিট কমান্ড শাখার নেতৃবৃন্দ।  এর পর একে একে সিলেট সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়, সিলেট মহাগর পুলিশ (এসএমপি),  সিলেট জেলা প্রশাসন, সিলেট জেলা পুলিশ, সিলেট জেলা সিভিল সার্জন, সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন আরআরএফের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সিলেট জালালাবাদ গ্যাস টিএন্ডডি সিস্টেম লিমিটেড এউপলক্ষে কোম্পানির গ্যাস ভবন চত্বরে সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

কিশোরগঞ্জ

রবিবার সকালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে। পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে পুলিশ-আনসার স্কাউটসের কুচকাওয়াজ শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পতাকা উত্তোলন অভিবাদন গ্রহণ করেন।

রাঙ্গামাটি

রবিবার  সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে  রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে  ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান  পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর  বীর মুক্তিযোদ্ধা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চলর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জমান মহোসিন রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন।

নড়াইল

রবিবার  জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, নড়াইল প্রেসক্লাব, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করে।

এর মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ,গণকবর,বধ্যভূমি বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে  পুস্পস্তবক অর্পণ, বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহম্মদ ষ্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র  প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন ইত্যাদি। 

নারায়ণগঞ্জ

শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ। রবিবার ভোরে নগরীর চাষাঢ়ায় বিজয়স্তম্ভের সামনে ৩১ বার  তোপধ্বনির পর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠিকতা। সকাল থেকেই চাষাঢ়া চত্বরে নির্মিত বিজয়স্তম্ভে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ নানা পেশার মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে প্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের নেতৃত্বে বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার  গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা মহানগর বিএনপি, জেলা সিভিল সার্জনজেলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

ফরিদপুর

সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহাজান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর উপজেলা পরিষদ, প্রেসক্লাব, ফরিদপুর পৌরসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

সাতক্ষীরা

যথাযোগ্য মর্যাদায়  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় মহান স্বাধীনতা জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। সকাল ৭টায় শহরের খুলনা রোড মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সালাম গ্রহণ বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে দিনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুময়ুন কবির পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।

মুন্সীগঞ্জ

রবিবার স্মৃতিফলকে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ মর্চপাস্ট হয়। বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, কারারক্ষী বিএনসিসি কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, লোকজ ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ মেলাসহ জেলাব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। বীর মুক্তিযোদ্ধার বের করে শোভাযাত্রা। এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুন্সীগঞ্জ- আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জ- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বঙ্গবন্ধুর চিফ সিকিউরিটি অফিসার বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন, পৌর মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লব  প্রমুখ।

ভোলা

রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকালে  শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে¢ বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সর্বস্তরের মানুষ পুস্পমাল্য দিয়ে শহীদদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শেরপুর

রবিবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেরপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম। পরে একে একে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন কুমার পাল পিপি, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জেলা আইনজীবী সমিতি, প্রেসক্লাব, জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

চুয়াডাঙ্গা

রবিবার সকাল ছয়টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। পরে স্থানীয় শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দেশ জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সময় উপস্থিত ছিলেন সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এমপি, জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে সকাল আটটায় পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

বাগেরহাট

রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১বার তোপ ধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। এর পর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পায়রা বেলুন ওড়ানো, কুচকাওয়াজ, শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা, ডিসপ্লে, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা আলোচনা সভা, চিত্রাংকন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, আলোকসজ্জা ইত্যাদি নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।

বগুড়া

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রর্দশনী, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, কুচকাওয়াজ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাসহ অন্যান্য কর্মসুচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। সকালে শহরের ফুলবাড়িতে শহীদ স্মৃতি সৌধ   শহীদ খোকন পার্কে বগুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বগুড়া সদর আসনের এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, সিপিবি, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক পেশাজীব সংগঠন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের ফারুকী পার্ক চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পরে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। ছাড়া  জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল শহীদদের প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

মাগুরা

প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ স্মৃতিসৌধে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মশিউদৌল্লা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডুসহ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা আইনজীবী সমিতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

লক্ষ্মীপুর

রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে ৩১ বার তপোধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। এরপর পর্যায়ক্রমে শহীদ বেদিমূলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ, জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল রাফিন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংক, পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভুঁইয়া, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, সিভিল সার্জন ডা. আহম্মাদ কবির, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহবুবুল করিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন, বিএমএ সভাপতি ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী লাবণ্য বড়ুয়া, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, এলজিইডির শাহ আলম, পানি উন্নয়ন বিভাগের ফারুক হোসেন।

ঝালকাঠি

রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ্্ গুল নিঝুম রাষ্ট্রের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পরপরই পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

কুড়িগ্রাম

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সময় কলেজ মোড়স্থ বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ

রবিবার সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ডে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পরে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান বিপিএম পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সাবেক এমপি সফিকুল ইসলাম অপু শ্রদ্ধা জানান।

কুমিল্লা

রবিবার নগরীর টাউন হল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। পরে তারা নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

পাবনা

রাত ১২টা এক মিনিটে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামিল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীনসহ আওয়ামী লীগ তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি জেলা প্রসাসনের পক্ষ থেকে দুর্জয় পাবনায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান।

মৌলভীবাজার

সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রমুখ।

মাদারীপুর

রবিবার সকাল ৭টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক . রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠন, মাদারীপুর জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ, মাদারীপুর পৌরসভা, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সর্বস্তরের মানুষ। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি ্যালি বের হয়ে আছমত আলী খান স্টেডিয়াম গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ফুলের তোড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করে নেন জেলা প্রশাসক।

জামালপুর

জেলা প্রশাসন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শিল্পকলায় আলোচনা সভা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মুক্তার হোসেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।

নীলফামারী

রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি এবং সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়স্থ স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিসৌধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পু®পমাল্য অর্পণ করা হয়। সময় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, নীলফামারী প্রেসক্লাব পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে হাইস্কুল মাঠে কুচকাওয়াজ, শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

 

×