ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ কলকাতার অতিথিরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ২১ মার্চ ২০২৩

রাজশাহীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ কলকাতার অতিথিরা

রাসিক মেয়রসহ ভ্রমণে আসা বিশিষ্টজনরা

রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন, পরিকল্পিত নগরায়ন, রাতের আলোকায়নে মুগ্ধ কলকাতা থেকে ভ্রমণে আসা বিশিষ্টজনরা। এদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাংবাদিকেরা।

দুই দিনের সফরে এসে রাজশাহী নগরীর রূপ দেখে তার রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিকল্পরা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাজশাহীকে সৌন্দর্যের প্রতীক বলে অখ্যায়িত করেছেন তারা।

কলকাতা বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের আহবায়ক সৌম্যব্রত দাস বলেন, আমরা দুইদিন ধরে রাজশাহীতে আছি। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছি। রাজশাহীর সব কিছুতে একটা পরিকল্পিত উন্নয়নের ছাপ রয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহী নগরের পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নে মুগ্ধ হয়েছি। দিনের রাজশাহী আর রাতের রাজশাহী আলাদা। দিনে পরিচ্ছন্ন ও রাতে আলোকউজ্জ্বল। বাংলাদেশের অন্য শহরও দেখেছি। তবে অন্য শহরে তুলনায় রাজশাহী এগিয়ে গেছে তার সৌন্দয্যে।

কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, রাজশাহীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ ও আতিথিয়েতায় আপ্লুত। রাজশাহীর নগরপিতা যেভাবে শহরকে সাজিয়েছেন, দেখেই বোঝা যাচ্ছে সব কিছুই পরিকল্পিত। তিনি বলেন দুই দেশের মানুষের সুস্থ সম্পর্ক বহমান থাকবে। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ আরো নিবিড় হবে।
রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাস কমিউনিকেশন এন্ড ভিডিওগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শ্রী দেবজ্যোতি চন্দ বলেন, রাজশাহী সত্যিকার অর্থেই গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটি। এটি বাংলাদেশের এডুকেশন হাব। রাজশাহীর টাউন প্ল্যানিং, প্রশস্ত রাস্তা ও সবুজায়ন প্রক্রিয়াকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

তিনি আরো বলেন,  ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে। উভয় দেশে ব্যবসা-বানিজ্য অনেক বাড়বে। সেক্ষেত্রে রাজশাহী গুরুত্বপূর্ণ শহর ভুমিকা পালন করবে। ভারত-বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পিপল টু পিপল কন্টাক্ট, সিভিস সোসাইটি টু সিভিস সোসাইটি আদান-প্রদান আমাদের এই যাত্রা আরো সুদৃঢ় হবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রফেসর ড. সান্তুন চট্রোপাধ্যায় বলেন,  বাংলাদেশের রাজশাহী শহরের কথা শুনেছিলাম। আমরা এসে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। এতো সুন্দর ও পরিপাটি একটি শহর। বাংলাদেশের অন্য শহরের তুলনায় রাজশাহী এগিয়ে আছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের সদস্য বিদ্যুৎ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে এতো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি শহর আছে, রাজশাহীতে না আসলে জানতে পারতাম না।  সত্যিকার অর্থেই রাজশাহী সোন্দর্যের শহর।

রাসিক সূত্র জানায়, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে সোমবার রাজশাহীতে আসেন কলকাতার অতিথিরা। সোমবার বরেন্দ্র জাদুঘর, পদ্মাপাড়, টি-বাধ ও রাতে আলোকায়ন ঘুরে দেখেন তারা। মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, তাহেরপুরের ঐতিহাসিক দুর্গামন্দির, নাটোর রাজবাড়ি ও পুঠিয়া রাজবাড়ী পরিদর্শন করেন।

এর আগে সোমবার তাদের সম্মানে নগর ভবনে প্রীতি সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কলকাতার অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আগত ভারতীয় অতিথিদের উত্তরীয়, ক্রেস্ট, আমের মোমেন্ট ও অন্যান্য উপহার প্রদান করেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভুলে যাবার নয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ধীরে ধীরে বাড়ছে। উভয় দেশের সম্পর্ক বজায় আছে, আগামীতেও থাকবে। ভারতের মুর্শিবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত নৌবন্দর চালুর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। এটি চালু হলে উভয় দেশ থেকে মালামালি আমদানি-রপ্তানি করা সহজ হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। বাংলাদেশ-ভারত আরও এগিয়ে যাবে, উভয় দেশের কল্যাণ হবে।
 

টিএস

×