
আহত মাসুদ মিয়া।
মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ২০ জন নিহতের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুইটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ুয়া মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন বাবা মাসুদ মিয়া। তিনি গোপালগঞ্জ শহরের পাচুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
রবিবার (১৯ মার্চ) ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি প্রায় পঞ্চাশ ফুট নিচে পড়ে যায়।
এতে সুইটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন মাসুদ মিয়া। তাকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। চোখের সামনে মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক তিনি।
সুইটি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকার মিরপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাসুদ মিয়া মেয়েকে সেখানে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।
বাবা মাসুদ মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে পাঁচটায় ইমাদ পরিবহনের গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছিলাম মেয়েকে পৌঁছে দিতে। শিবচর পৌঁছালে দেখি হঠাৎ গাড়িটা মোড় নিয়েছে। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, মেয়েকে পৌঁছে দিতে গিয়ে এখন ফিরতে হবে তার লাশ নিয়ে।
এমএম