ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়ায় খালের মাটি লুটে নিচ্ছে প্রভাবশালী নেতারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১৭ মার্চ ২০২৩

পটিয়ায় খালের মাটি লুটে নিচ্ছে প্রভাবশালী  নেতারা

লুটের অভিযোগে জব্দ করা হয়েছে পাঁচটি পিকআপ

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পাউবোর আওতায় পটিয়ায় ১১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কয়েকটি খাল পুনর্খননের কাজ চলছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ খালের মাটি দিনে রাতে লুটে নিচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু আওয়ামী লীগ নেতা। এতে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি নাজেহালও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তা ছাড়া খালের প্রকৃত জায়গা অনুসরণ না করে এলাকার শত শত কৃষকের ফসলি জমির মাটি বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে।

এতে করে প্রান্তিক কৃষক স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। উপজেলার গরুলুটা খাল, কেরিঞ্জা খাল, চৌধুরী আহলা খাল জঙ্গলখাইন খালসহ প্রায় হাজার মিটার খাল পুনর্খননের কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাবর-জামান (জেভি) বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের করল গ্রামের মগ বিলের কেরিঞ্জা খালের পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে খালের মাটিসহ ৫টি পিকআপ জব্দ করেন। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। খাল পুনর্খননের মাটি লুট ছাড়াও প্রায় প্রতিদিন রাতে উপজেলার শোভনদন্ডী, কচুয়াই, হাইদগাঁও, কেলিশহর, জিরি, ধলঘাট, বড়লিয়া, জিরি, কুসুমপুরা, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে দলীয় পরিচয়ে ফসলি জমির মাটি কাটলেও পুলিশ প্রভাবশালীদের কাছে অসহায়। অভিযোগ উঠেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ পানি নিষ্কাশন সেচ প্রকল্পের চলমান কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয়দের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও কোনোরূপ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। 

তিনি নিশ্চিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল মামুনকে ফোনে বিষয়টি জানান। পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম পটিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খালের মাটি পাচারের সত্যতা  পেয়েছেন। পরে মাটি ভর্তি পিকআপ চট্টমেট্রো -১১-১২৪৮, চট্টমেট্রো -১১-১১৫৮, চট্টমেট্রো ১১-৭৪৬২, চট্টমেট্রো -১১-১৮২২ একটি নম্বরবিহীন ভ্রাম্যমাণ আদালত জব্দ করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, খাল পুনর্খননের মাটি রাতের আঁধারে পাচার করা অপরাধ। খালের মাটি পাচারের সময় ৫টি পিকআপ জব্দ করে পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পটিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধীমান চৌধুরীকে বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

×