ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরাল

প্রকাশিত: ২০:৩০, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরাল

নির্যাতন ও বিবস্ত্র করার ঘটনায় আটককৃতরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের পর বিবস্ত্র করে জনবহুল রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ধারণকৃত ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। 

এর আগে ১১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলাহাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার রাতে ওই নারীর বাড়িতে যান তিনি। সে সময় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের পর বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে। তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় হাঁটিয়ে ওই ব্যক্তির ভাইয়ের বাড়ির সামনে থেকে ঘুরিয়ে আনা হয়। যারা ওই ব্যক্তিকে অনৈতিক কাজের অভিযোগে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে প্রকাশ্যে রাস্তায় ঘুরিয়েছেন তারা সবাই স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির লোকজন।

মামলা এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, এক ব্যক্তির কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তাকে আটকিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হলে মারধর করে চাকু দেখিয়ে নগদ ১৪ হাজার ৫শ টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়।  এ সময় তাকে জ্যাকেট, প্যান্ট ও গেঞ্জি জোরপূর্বক খুলে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরায় এবং ভিডিও স্থিরচিত্র ধারণ করে। পরে আসামিরা তাদের মোবাইলে ধারণ করা ওই ব্যবসায়ীর ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের কথায় সাড়া না দেওয়ায় তারা পরস্পরের যোগসাজসে ধারণ করা ভিডিওটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ মামলায় মো. বাক্কারকে প্রধান আসামি করে আরও সাতজনের নামোল্লেখসহ ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর  জানান, বিবস্ত্র করে এক ব্যবসায়ীকে ঘোরানোর ভিডিওটি দেখার পর অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। এরা এলাকার চিহ্নিত বখাটে। পরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

 

এসএইচ

×