ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোরেলগঞ্জে উফশী আমনের বাম্পার ফলন

সংবাদদাতা, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২২:১২, ২ ডিসেম্বর ২০২২

মোরেলগঞ্জে উফশী আমনের বাম্পার ফলন

শুভরাজকাঠী গ্রামের মাঠজুড়ে আমন ধানের সোনালি ফসল

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উফশী আমন ধানের বাম্পার ফলনে বেজায় খুশ কৃষক। অধিক লাভবান এ ধানের বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২০ থেকে ২২ মণ। বাজারদরও রয়েছে ভালো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌর সভায় এবারে ৫ হাজার ৫শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড উফশী আমন ধান চাষ করেছে কৃষক।
এর মধ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১০ হেক্টর জমিতে এ জাতের ধানের আবাদ করেছে কৃষক। পোকামাকড় না থাকথাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। পৌরসভার শুভরাজকাঠি গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম মাতুব্বরের দুই বিঘা ৬৬ শতক জমিতে উফশী আমন চাষ করেছেন। চাষি মজুরি, বীজ, সার নিয়ে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন এবার ৪০ মণ ধান ঘরে তুলতে পারবেন। প্রতি মণ ধানের বর্তমানে বাজারদর রয়েছে ১১শ’ টাকা।
একই গ্রামের আবু বকর শেখ, আলতাফ মাতুব্বর, কামরুজ্জামান, আবু সালেহ ও শাহাজান শেখসহ একাধিক কৃষকরা বলেন, যেখানে দেশী আমন ফলিয়ে বিঘায় ধান পাওয়া যেত ৮ থেকে ৯ মণ। সে জমিতে এবার উফশী ধান পেয়েছেন বিঘায় ২০ থেকে ২২ মণ। আগামীতে এ প্রজাতের ধান চাষ করবেন অনেকেই। বাম্পার ফলন হওয়ায়  পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো থেকেও প্রতিনিয়ত অনেকেই খোঁজখবর নিচ্ছেন। কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী এ ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারছেন তারা। এ সম্পর্কে পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, শুভরাজকাঠী গ্রামের চাষিরা বিগত দিনে স্থানীয় আমন ধান চাষ করতেন। এ বছর তাদের কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে উফশী আমন জাতের ধান ফলানো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তাদের এ বাম্পার ফলন। কৃষকও অনেক খুশি, বাজার দরও রয়েছে বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আকাশ বৈরাগী জানান, উপজেলায় এ বছরে উফশী আমন আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫শ’ ৫০ হেক্টরে। লোকাল আমন ধান আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ৮৩৬ হেক্টর, হাইব্রিড ৩ হেক্টর, মোট ২৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০% জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। উফশী ধানের ফলন বেশি ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ প্রজাতের ধান ফলনের জন্য প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে। এ ফসলে পোকামাকড়েরও আক্রমণ কম হয়। ফসল বেশি অধিক লাভবান  হয় কৃষক। যে কারণে কৃষকদের মাঝে এ ধান ফলনের দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

×