ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুপড়ি ঘরে ঝুঁকি নিয়ে ছায়া বানুর বসবাস 

মো. মামুন চৌধুরী,হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ৩ অক্টোবর ২০২২

ঝুপড়ি ঘরে ঝুঁকি নিয়ে ছায়া বানুর বসবাস 

ঝুপড়ি ঘরে বিধবা ছায়া বানু।

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আওতাধীন কুতুবেরচক গ্রাম। এ গ্রামের মৃত আছকির মিয়ার স্ত্রী ছায়া বানু (৬৫)। 

প্রায় ১৭ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর ছায়া বানু অসহায় হয়ে পড়েন। প্রায় ৪ শতকের ভিটেমাটি ছাড়া আর জমিজমা নেই। অনেক চেষ্টার পর বছরখানেক আগে ছায়া বানু বিধবা ভাতার কার্ড পান। ভাতার আয়ে তার কিছুই হয় না। অন্য কোন আয়ের পথও নেই। তাই এক বেলা খেলে দু-বেলা উপোশ থাকতে হয়। 

চার কন্যার মধ্যে পিতা আছকির মিয়া ৩ জনকে বিয়ে দিয়ে যান। পরে বাকি ১ কন্যাকে বিয়ে দেন ছায়া বানু। তবে কন্যাদের স্বামীরা কিছুটা সহায়তা করেন তাকে। টাকার অভাবে তিনি ঘর মেরামত করাতে পারেননি। বৃষ্টি এলে টিন ফুটো হয়ে ঘরে পানি পড়ে। 

ঝড়ে ঘর ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে বিধবা ছায়া বানুকে। শুধু তাই নয়, ঘরের বেড়া ভেঙে গেছে। অনেকের কাছে তিনি গিয়েছেন। কেউ ঘর মেরামত করার জন্য টাকা দেয়নি। 

একদিকে ঘর ঝুঁকিপূর্ণ, অন্যদিকে প্রায় সময় থাকতে হচ্ছে উপোশ। এ অবস্থা তিনি কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্তে আলাপকালে ছায়া বানু এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শুনেছি সরকারিভাবে টিন ও আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। তবে আমি এমন সহায়তা পাচ্ছি না কেন?
 
সমাজসেবক পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন তালুকদার বলেন, ছায়া বানুর দুঃখের কথা শুনেছি। তাকে সহায়তার চেষ্টা করছি। তবে তাকে যেন দ্রুত সরকারিভাবে সহায়তা করা হয়। 

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, ছায়া বানুর ছেলে সন্তান নেই। চার কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন। তারা স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছে। আর তিনি একা বসবাস করছেন ঝুপড়ি ঘরে। তাকে যেন সরকারিভাবে সহায়তা করা হয়, বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয়কে অবগত করবো। 

 এসআর

×