ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরিত্যক্ত পলিথিন থেকে উৎপাদন হচ্ছে জ্বালানি তেল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২; আপডেট: ২১:২৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

পরিত্যক্ত পলিথিন থেকে উৎপাদন হচ্ছে জ্বালানি তেল

পলিথিন থেকে উৎপাদিত অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে

ভৈরবে পরিত্যক্ত পলিথিন থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করছে আহিল পলি পেট্রেলিয়াম। এতে একদিকে যেমন জ্বালানি তেল সঙ্কট দূর হবে। অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতিকর পলিথিন থেকে জনস্বাস্থ্য কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে  এ কারখানাকে আরও বড় পরিসরে গড়ে জ্বালানি তেল উৎপাদনে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। জানা গেছে, ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডের সেপকো কোম্পানির সঙ্গে ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে ভৈরবের ইউসুফ আহমেদ গালিব পরিত্যক্ত পলিথিন থেকে কিভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে জ্বালানি তেল উৎপাদন করা যায় সে সম্পর্কে টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও প্রশিক্ষণ নেন। পরে ওই বছরই সেপকো কোম্পানির কাছ থেকে প্যাটান সংগ্রহ করে ভৈরব পৌর শহরের পলতাকান্দায় পরীক্ষামূলকভাবে আহিল পলি পেট্রোলিয়াম কারখানা গড়ে তোলেন।
২০২০ সালে কারখানাটি উৎপাদনে আসে।  শহরের পরিত্যক্ত পলিথিন সংগ্রহ করে মেশিনে ছোট ছোট করে তারপর সেগুলোকে চুল্লির মাধ্যমে তাপ দিয়ে তিন ধরনের জ্বালানি তেল তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। মাসুদ রানা এসেছেন কটিয়াদী থেকে। তিনি প্রতিমাসে একবার আসেন মোটরসাইকেলে অকটেন ভরতে। তিনি জানান, পেট্রোলপাম্প থেকে লিটারে ১০ টাকা কম পান। ১০ লিটার তেলে ১শ’ টাকা কম লাগে। এখানে উৎপাদিত জ্বালানি তেল মানসম্মত। মোটরসাইকেলে কোন সমস্যা হয় না।
এলাকাবাসী জানান, আমরা পলিথিন ফেলে দেই। সে পলিথিন সংগ্রহ করে গালিব জ্বালানি তেল উৎপাদন করছেন। সরকারের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। তরুণ উদ্যোক্তা ইউসুফ আহমেদ গালিব জানান, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বা সহযোগিতা পেলে তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এ ধরনের  কারখানা গড়ে তুলবেন। এতে জ্বালানি তেলের সঙ্কট কিছুটা হলেও কমবে।

×