
সাফজয়ী ৫ নারী ফুটবলার
চট্টগ্রামে মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হলো সাফ ফুটবলে শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ৫ সদস্য। এই বীরকন্যাদের প্রতি শুভেচ্ছা জানাতে বুধবার নামে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ঢল। সংবর্ধনার জবাবে তারা শুনিয়েছেন আরও এগিয়ে যাওয়ার অদম্য বাসনার কথা।
রাঙ্গামাটির ঋতুপর্ণা চাকমা, রূপনা চাকমা, খাগড়াছড়ির মনিকা চাকমা, জমজ বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী যখন সংবর্ধনা মঞ্চে ওঠেন তখন করতালিতে মুখরিত চট্টগ্রামের জামালখান চত্বর। বুধবার দিনভর সূর্যের তাপ তীব্র না হলেও গরমে হাঁসফাঁস ছিল।
এরমধ্যেই হাজার হাজার নগরবাসীর উষ্ণ ভালবাসায় সিক্ত চট্টগ্রামের এই ৫ মেয়ে। ফুটবলে সাফে মেয়েদের এমন অর্জনে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসের রেশ চট্টগ্রামে পড়বে না এমনটি কেউ বিশ^াস করতে পারেনি। অবশেষে চট্টগ্রামবাসী বর্ণিল সংবর্ধনায় রাঙিয়ে দিল পাহাড়ের গর্ব জাতীয় নারী ফুটবল দলের পাঁচ খেলোয়াড়কে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল ফাইনালে শক্তিশালী নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
বুধবার সকালে সকালে শাহ আমানত বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানানো হয় পাঁচ নারী ফুটবলারকে। এরপর সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় নগরীর চট্টগ্রাম ক্লাবে। বিকেলে চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে তাদের বহনকারী খোলা ছাদের জিপটি মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে জামালখান এসে পৌঁেছ। তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম ক্লাব সংবর্ধনাস্থলে আসে উচ্ছ্বাসিত জনতা।
কাজির দেউড়ি থেকে জামালখান পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে ছিল উৎসুক জনতা, তারা হাত নেড়ে ও স্লোগান দিয়ে সাফজয়ী এই পাঁচ খেলোয়াড়কে শুভেচ্ছা জানায়। জামালখান মোড়ে মূল অনুষ্ঠান যখন শুরু হয় তখন বিকেল ৪টা। রাজসিক এই সংবর্ধনায় আপ্লুত খেলোয়াড়রা। পাঁচ ফুটবলারকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা ফুলের মালা এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সংবর্ধনার প্রশংসিত এই আয়োজনটি করে দৈনিক আজাদী।