ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রবাসীর স্ত্রীর অনশন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর 

প্রকাশিত: ২১:৪০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২; আপডেট: ২১:৪২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রবাসীর স্ত্রীর অনশন

প্রবাসীর স্ত্রীর অনশন  

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় পরিবারের লোকজনসহ প্রেমিক বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। 

শনিবার পর্যন্ত দু’দিন ধরে ওই নারী কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রেমিক রাহিম শেখের বাড়িতে অনশন করছেন। অনশনরত ওই নারী জানান, প্রায় সাত বছর আগে মালয়েশিয়া প্রবাসী ফুপাতো ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পাঁচ বছর পর মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে তার সঙ্গে স্থানীয় বিনিরাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের সেকান্দর শেখের ছেলে রাহিম শেখের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

এ সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে রাহিম। পরবর্তীতে বিয়ের কথা রাহিমকে বললে সে নানা টালবাহানা করতে থাকে। 
একপর্যায়ে স্বামীকে তালাক দিতে বলে রহিম। তার কথা অনুযায়ী সরল বিশ্বাসে আমি প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেই। স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর রাহিম আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এ ঘটনার পর থেকে রাহিম নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। উপায়ন্তর না পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে রাহিমের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেছি। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ওই নারী রাহিম শেখের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাকে বাড়িতে আসতে দেখে রাহিম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। ওই নারীকে দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষ রাহিমের বাড়িতে ভিড় করছেন।

অভিযুক্ত রাহিম শেখের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। রাহিম শেখের বাড়িতেই অবস্থান করছেন ওই নারী। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য দুই পক্ষের অভিভাবক পর্যায়ের কাউকে পাওয়া যায় নি।

জাঙ্গালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সারোয়ার বলেন, দুই পরিবারের কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। ঘটনাটি আমার পরিষদের এক সদস্যের কাছ থেকে শুনেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে। 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×