ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষিকার মৃত্যুর রহস্য দ্রুত উন্মোচনের দাবি স্বজনদের

প্রকাশিত: ১৫:২১, ১৪ আগস্ট ২০২২

শিক্ষিকার মৃত্যুর রহস্য দ্রুত উন্মোচনের দাবি স্বজনদের

স্বামী মামুনের সঙ্গে শিক্ষিকা খায়রুন নাহার

নাটোরে শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া শিক্ষিকা অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে জেলা শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তার আত্মীয়-স্বজনরা। তবে দুপুর পর্যন্ত তার স্বামী মামুনের পক্ষের কাউকে দেখা যায়নি। এই মৃত্যুর বিষয়ে শিক্ষিকার স্বজনরা মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এই ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করা হয়েছে। 
তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষিকার ভাগ্নে নাহিদ হোসেন জানান, মামুন মাদকাসক্ত। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত তিনি পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন। একটি মোটরসাইকেলও কিনে দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি আরও দামি মোটরসাইকেল চেয়েছেন। এ নিয়ে তার খালা খায়রুন নাহার মানসিক চাপে ছিলেন। এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষিকার চাচাতো ভাই সাবের হোসেনের দাবি, বিয়ের ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে খায়রুন নাহারের আত্মীয়, সহকর্মী, পরিচিতজনরা বিভিন্ন সমালোচনা করেছেন। কেউ বিয়েটাকে ইতিবাচক আবার কেউ নেতিবাচকভাবে দেখেছেন। এ নিয়ে চাপে ছিলেন খাইরুন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন তা তার বোধগম্য নয়।

তিনি আরও জানান, খাইরুনের আগের স্বামী বা সন্তানের পক্ষ থেকে কোনো চাপের বিষয় তারা শোনেননি।

স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ সবুজ জানান, মেয়ের পরিবার অত্যন্ত ভালো। ওই ছেলে মাদকাসক্ত বলে শোনা গেছে। এই মৃত্যুর রহস্য দ্রুত উন্মোচনের দাবি করেন তিনি।

শিক্ষিকা খাইরুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।


 

এসআর

×