যমুনার ভাঙ্গনে ৮ শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন
গত দু’সপ্তাহের যমুনার ভাঙনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রায় ৮ শতাধিক বাড়ি, ৪টি মসজিদ ও শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকার ছিন্নমূল পরিবারের মধ্যে নেই কোন ঈদের আমেজ। অনেক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কেউ কেউ ভাঙ্গা বাড়িঘর নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফলে আসন্ন ঈদ-উল-আজহার কোন আনন্দই স্পর্শ করবে না এসব নদী ভাঙা ছিন্নমূল পরিবারের মধ্যে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সম্প্রতি বন্যার পানি কমলেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙ্গন। উপজেলার অর্জুনা, গাবসারা ও নিকরাইল ইউনিয়নের অন্তত ১২টি গ্রামে দেখা দিয়ে তৃীব্র ভাঙ্গন। এতে প্রায় ৮ শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এর মধ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে অর্জুনা ইউনিয়নে বাসুদেবকোল, তালতলা ও শুশুয়া গ্রামে। এ তিনটি গ্রামের এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার। বিলীন হয়েছে ৪টি মসজিদ ও শত শত একর ফসলি জমি।
চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের জহুরা বেগম (৬০) বলেন, আমরা বাড়িঘর হারিয়ে এখন নিঃস্ব। আামাদের এখন থাকার মতো কোন জায়গা-জমি নেই। ঘরে নেই খাওন। আমাদের আবার ঈদ আছে। এ অবস্থায় সরকারীভাবে কোন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতাও পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান জানান, ভাঙ্গনের ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। ভাঙ্গনরোধে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভূঞাপুরে ব্যাপকভাবে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় ভাঙনরোধে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়া পাড়ায় ৩শ’ মিটারের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে পর্যায়ক্রমে আরও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বৃক্ষরোপণ
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্যোগে বুধবার বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু হয়েছে।
বুধবার সকালে জেলা শহরের গোবিন্দনগর আনসার ব্যাটালিয়ান সদর দফতর এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যালয় চত্বরে ফলদ-বনজ ও ঔষধি প্রায় ৫০ গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে অভিযান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন, আনসার ব্যাটালিয়ানের পরিচালক ও জেলা কমান্ড্যান্ট ড. লুৎফর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট ফারুক হোসেন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রশিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা প্রশিক্ষক প্রবীর কুমার রায়সহ অনেকে।