
নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার ॥ সংস্কারের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আদমদীঘি-আবাদপুকুর সড়কের বেহাল অবস্থা হয়েছে। বর্তমানে দেখে মনে হয় সড়কতো নয় যেন আমন আবাদের চষা জমি। উপজেলা সদরের বাজার থেকে মিটারগেজ রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং হয়ে কুসুম্বী পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে বড় বড় খানা-খন্দক সৃষ্টি হয়েছে। ধানসহ কৃষি পণ্যের বড় মোকাম আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ। মোকামটিতে যাতায়াতের এটিই প্রধান সড়ক। ফলে বেহাল অবস্থা মাড়িয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষে শুরু করে ২০১৯ সালের প্রথম দিকে এসড়কের সংস্কার কাজ শেষ করেন বগুড়ার মেসার্স এম,এম বিল্ডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আদমদীঘি থেকে আবাদপুকুর পর্যন্ত ১৫কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ আদমদীঘি উপজেলার। আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই সাড়ে ৪কিলোমিটার সড়ক উন্নত ও টেকসই করে পুনঃনির্মানের জন্য ব্যয় করা হয়েছে এক কোটি ৮২ লাখ টাকা। এছাড়াও ১২ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৮ফুট প্রস্থ্য করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।পুরনো ইটের খোয়া, নিম্মমানের বালু এবং নামমাত্র বিটুমিন ব্যবহার করে দায়সারা ভাবে কাজ শেষ করে, সমুদয় বিল তুলে নিয়ে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সড়কের কাজ চলার সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সে সময়ের উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। উল্টো অভিযোগকারিদের সাথে অসদাচরণ করেন। এবিষয়ে বর্তমান উপজেলা প্রকৌলশী সাজেদুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, সে সময়ের উপজেলা প্রকৌশলী কি ভাবে কাজটির কাজ বুঝে নিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি সরেজমিন সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়ে বড় বড় খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে এবং কোথাও কোথাও সড়ক দেবে গিয়ে যান চলাচলে ব্যাপক বিঘœ ঘটছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করাায় দ্রুত নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।