নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল এখন শুধু নামেই আধুনিক সদর হাসপাতাল। চিকিৎসকের অভাব, অকেজো যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতা আর স্থানীয় নেতৃবৃন্দের চেষ্টা না থাকায় হাসপাতালটির এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে শুধু ঠাকুরগাঁও জেলার এই হাসপাতালে একশ’ বেডের হাসপাতালের ডাক্তারের বরাদ্দ নেই। শুধু তাই নয়, ৫০ বেডের হাসপাতালের জন্য যে জনবল বরাদ্দ রয়েছে, এখানে তার অর্ধেকও কর্মরত নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, এখানে প্রভাবশালী কোন রাজনৈতিক নেতা না থাকায় হাসপাতালের জনবল দিতে গড়িমসি করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য তথা একশ’ বেডের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল বরাদ্দ দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা ডিজি অফিস উৎসাহী নয়। তারা এই জেলাকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছেনা। যেখানে অনেক বছর আগে ঘোষিত একশ’ বেডের এই হাসপাতালটিতে ৫০ বেডের জনবল নেই, সেখানে ২শ’ ৫০ বেডের হাসপাতাল ঘোষণা দেওয়া হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। ঐ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতার চেষ্টা ছাড়া এই হাসপাতালের সমস্যা দূর হবেনা।
হাসপাতালে কাগজে কলমে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশু, অর্থপেডিস, ইএনটি, চক্ষু, দন্ত, প্যাথলজি ও রেডিওলজি বিভাগ চালু থাকলেও গাইনি ও সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট নেই, নেই চক্ষু ও দন্ত কন্সালটেন্ট। রেডিওলজিস্ট ও প্যাথলজিস্ট নেই। একশ’ বেডেরতো দূরের কথা ৫০ বেডের ২২ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১২জনই নেই। এখানে হৃদরোগের জন্য চিকিৎসকের কোন পদ বরাদ্দ নেই। বর্তমানে হাসপাতালের ২টি এক্স-রে মেশিন বন্ধ। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন খারাপ, তাই এই বিভাগ বন্ধ। রেডিওলজিস্ট নেই, তাই এই বিভাগও বন্ধ।
ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন সিভিল সার্জন এহসানুল করিম ২৮ আগস্ট যোগদান করেছেন। তিনি জানান, হাসপাতালের এই দুরাবস্থার কথা তিনি শুনেছেন। সঙ্কট দূর করার জন্য তিনি উদ্যোগ নিবেন।