সেরা অর্জনের পর শিরোপার গর্জন

ইউরোর ইতিহাসে চতুর্থ দেশ হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর আর কোনো মেজর টুর্নামেন্ট জিততে না পারা থ্রি-লায়ান্সদের সামনে ৫৮ বছরের ট্রফির খরা ঘোচানের হাতছানি। এবার আর সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না কোচ গ্যারেথ সাউথগেট, ‘প্রথমে যেটা করতে হবে, ওদের (ফাইনালের প্রতিপক্ষ স্পেন) বেশি বল দেওয়া যাবে না।

জানি কাজটা তত সহজ নয় যে আমরা বল পায়ে রাখব, আর ওরা শুধু ছুটোছুটি করবে! বল পায়ে এবং বল ছাড়া, দুইভাবেই আমাদের অসাধারণ দক্ষতা দেখাতে হবে। আসরে এখনো পর্যন্ত যা করেছি, সেসব দিয়েই এ পর্যায়ে এসেছি। স্পেন ভালো দল, তাদের সম্মান করছি, তবে আমরা শিরোপা জয়ের জন্যই এখানে এসেছি, সেই সামর্থ্য আমাদের ভালোমতোই আছে।’ বলছিলেন ইংল্যান্ড বস।
ডর্টমুন্ডে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বদলি খেলোয়াড় অলি ওয়াটকিন্সের অন্তিম মুহূর্তের গোলে হল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীবারের মতো ইউরোর ফাইনালে উঠে এসেছে বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড। টানা চারটি বড় আসরে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা। সাউথগেটের ইংল্যান্ডকে নিয়ে প্রশ্ন যতই থাকুক, উত্তর লেখা আছে তাদের সাফল্যেই।

এবারের সাফল্য ছাড়িয়ে গেছে আগের সব কিছুকেই। গত ইউরোতেও ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেই ফাইনালে ইংলিশদের বেদনায় পুড়িয়ে টাইব্রেকারে জিতে যায় ইতালি। এবার ফাইনালে উঠেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে এই দল। ইংল্যান্ডের সুদীর্ঘ ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার দেশের বাইরের এটি তাদের প্রথম কোন আসরের ফাইনাল। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তারা শিরোপা জিতেছিল দেশের মাঠে। গত ইউরোতে খেলা হয়েছে ১১টি দেশে। ইংল্যান্ড নিজেদের সব ম্যাচ খেলেছে লন্ডনে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামেই।