
গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোতে পানি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচটি প্রধান নদীর পানি বিপদসীমা পার হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এছাড়া উত্তরের তিস্তা নদীর পানিও সতর্ক সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
ছয় জেলায় বন্যার আশঙ্কা
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুসারে, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ফেনী জেলার নদীপারের এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা
কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই ও হালদা নদীর একাধিক পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতি একই রকম থাকতে পারে।
সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের যাদুকাটা, ধলাই, সারিগোয়াইন ও সোমেশ্বরী নদীতে আগামী তিন দিনের মধ্যে পানির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকাও ঝুঁকিপূর্ণ
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, ফেনী, সাঙ্গু, হালদা ও মাতামুহুরী নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পারে। এর মধ্যে মুহুরী নদী বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে এবং ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাতামুহুরী নদীর পানি সতর্ক সীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
উত্তরাঞ্চলেও পানি বাড়ছে
রংপুর অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও বাড়ছে। তিস্তার পানি সতর্ক সীমায় রয়েছে এবং এটি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জোয়ার ও মৌসুমি বৃষ্টিপাত
বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উচ্চতায় জোয়ার দেখা দিতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে আগামীকালও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টির কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদেরা মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তাকে দায়ী করছেন।
সতর্ক বার্তা
বন্যা সম্ভাব্য এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের পানি পরিস্থিতির উপর নজর রাখার এবং জরুরি প্রয়োজন হলে আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
Jahan