কিলিয়ান এমবাপে
একটা সময় কিলিয়ান এমবাপেকে পেতে আদাজল খেয়ে লেগেছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। বর্তমান ফরাসি অধিনায়কও সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে যেতে মরিয়া ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তারার হাটে যাওয়া হয়নি এমবাপের। এরপর সময় গড়িয়েছে বেশ। প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইনের (পিএসজি) সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী তারকার। তাইতো আর আপাতত প্যারিস ছাড়ার ভাবনাও নেই ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের। যে কারণে রিয়ালও আর এমবাপেকে নিয়ে ভাবছে না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতিতে এমনই জানা গেছে।
অথচ গত গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর বেশিরভাগ সময়জুড়েই ছিল এমবাপের রিয়ালে যাওয়ার খবর। শেষ পর্যন্ত ফরাসি তারকা পিএসজির সঙ্গেই চুক্তি নবায়ন করায় রিয়াল সমর্থকদের হতাশ হতে হয়। শেষ মুহূর্তে হতাশ হওয়ায় গ্যালাক্টিকোরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। আরেকবার দলবদলের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আবারও এমবাপে ও রিয়াল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এমবাপে একটা সময় নিজেই জানিয়েছিলেন, প্যারিসে তিনি মোটেই সুখী নন। যে কারণে তাকে পেতে নড়েচড়ে বসেছিল রিয়াল। শেষ পর্যন্ত আর রিয়ালের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এখন আগামী বছর পিএজির সঙ্গে এমবাপে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার দাবি, পিএসজির সঙ্গে এমবাপে বিষয়ে সব ধরনের যোগাযোগ ছিন্ন করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমবাপের বিষয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা করতে আর রাজি নয় লস ব্লাঙ্কোসরা। এমবাপের সঙ্গে পিএসজির বর্তমান চুক্তি ২০২৪ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত। যদিও তার সঙ্গে আরও চুক্তি বৃদ্ধির শর্ত আছে। কিন্তু পিএসজির সঙ্গে সময়টা ভালো না কাটায় রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদি প্যারিসের পরাশক্তিদের সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন না করেন তাহলে এমবাপে ফ্রি এজেন্টে পরিণত হবেন। তখন যে কোনো ক্লাব তাকে কিনতে পারবে।
কিন্তু বারবার হতাশ হয়ে রিয়াল আর এমবাপেকে নিয়ে ভাবছেনা এমন সংবাদই চাউর হয়েছে।
বর্তমানে পিএসজির সঙ্গে এই ভালো তো এই মন্দ সম্পর্ক চলছে এমবাপের। এমন অবস্থায় পিএসজি নাকি ফরাসি ফরোয়ার্ডের কাছে থাকা না থাকার ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছে। সব মিলিয়ে এমবাপের ভবিষ্যৎ কিছুটা অনিশ্চিত। তবে সময়ই বলে দেবে এমবাপে ভবিষ্যতে পিএসজিতেই থাকবেন না ঠিকানা পরিবর্তন করবেন। অথচ দুই বছর আগেই এমবাপেকে কিনতে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছিল রিয়াল। তরুণ এই তারকাকে দলে পেতে যা ছিল রিয়ালের প্রথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ। গ্যালাক্টিকোদের দেয়া প্রস্তাবের অঙ্কটাও বেশ বড় ছিল।
১৬০ মিলিয়ন ইউরো বা ১৬ কোটি ইউরো। তখন শোনা গিয়েছিল, কমপক্ষে ২০০ মিলিয়ন ইউরো বা ২০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব পেলেই এমবাপেকে ছাড়তে রাজি হয়ে যাবে পিএসজি। ওই সময় পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি বলেছিলেন, চুক্তি শেষের আগে এমবাপেকে ছাড়ার কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। কিন্তু এমবাপেরও প্যারিস থেকে মন উঠে গিয়েছিল। বিশেষ করে লিওনেল মেসি পিএসজিতে আসার পর দল ছাড়তে উঠেপড়ে লেগেছিলেন এমবাপে।
তখন অবস্থা এমন হয়েছিল যে, যে করেই হোক প্যারিস ছাড়তে চেয়েছিলেন এমবাপে। কারণ মেসির পাশে তার ছায়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল! তাছাড়া তারকা এই ফুটবলার ছেলেবেলা থেকে তিনি লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমবাপে আর ঠিকানা পাল্টাননি। ভবিষ্যতে কি হয় সেটা সময়ই বলে দেবে।