
ছবি: জনকণ্ঠ
বান্দরবানে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। রবিবার (১১ মে) সকালে বান্দরবানের রাজবাড়ি প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে এসে বোধিবৃক্ষতলে সমবেত হয় পূজারীরা।
সেখানে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহনের পর নর-নারী, দায়ক-দায়িকা এবং উপাসক-উপাসীকারা চন্দনের জল ঢেলে ও ফুল নিয়ে বোধি বৃক্ষমূলের পূজা করেন। পরে বিহারে পঞ্চশীল গ্রহণ এবং হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্যদিয়ে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এ সময় ধর্মদেশনা প্রদান করেন বান্দরবানের উজানীপাড়া রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত ড. সুবন্নলংকারা মহাথের ও রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত উ: কেতু: মহাথের, আবাসিক ভিক্ষু নন্দশ্রী ভিক্ষু।
বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষু জানায়, গৌতম বুদ্ধত্ব লাভের জন্য ২৯ বছর বয়সে গৃহ ত্যাগ করেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গুরুর কাছে শিষ্যত্ব গ্রহনের পর নিরঞ্জনা নদীর তীরে এক বটবৃক্ষ মূলে ৬ বছর কঠোর তপস্যার পর বুদ্ধত্ব লাভ করেন, আর তাই বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য আজকের এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়।
এ সময় বান্দারবান বোমাং সার্কেলের চিফ ১৭তম বোমাং রাজা উ চ প্রু, রাজ কুমার চহ্লা প্রু জিমি, রাজকুমার মংওয়ে প্রু, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমং মারমা, রাজকুমার চসিংপ্রু বনি'সহ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নর-নারী এবং দায়ক-দায়ীকারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর বৈশাখ মাসের পূর্ণীমা তিথিতে নানা আয়োজনে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালন করে আসছে।
শহীদ