নড়াইল-১ আসনে আতঙ্ক কাটছে না সংখ্যালঘুদের

রিফাত-বিন-ত্বহা, কালিয়া থেকে ফিরে ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অধিক সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নড়াইল-১ নির্বাচনী এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৬ নবেম্বর দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত নৌকার টিকেট প্রথমে পান পর পর দুইবার নির্বাচিত বর্তমান এমপি কবিরুল হক মুক্তি। পরেরদিন মঙ্গলবার মনোনয়নের চিঠি পান শরিক দল জাসদের একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। শরীফ নুরুল আম্বিয়ার প্রার্থিতা ঘোষণার পর কবিরুল হক মুক্তির পক্ষে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নামেন। মুক্তিকে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে ২৭ নবেম্বর থেকে অদ্যাবধি দাবি আদায়ের সংগ্রামে রাতদিন মাঠে রয়েছেন তারা। এদিকে দুই নেতার মনোনয়নের এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে মুক্তির নৌকা প্রতীক নিশ্চিত না হওয়ায় পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাটছে না। সব মিলিয়ে এখন সবার প্রশ্ন-নড়াইল-১ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি তবে এখন সবাই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। সরেজমিন ঘুরে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম হারুনার রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমলাখি বিশ্বাসসহ তৃণমূলের নোকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিক সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নড়াইল-১ নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫১ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৯শ’ ৩৮ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ১শ’ ১৩ জন। এর মধ্যে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থার ওপর ভিত্তি করে এখানে আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে উঠেছে। নড়াইল সদরের ৫টি ইউনিয়ন ও কালিয়া উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নড়াইল-১ আসন বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে থাকে। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে দলীয় কোন্দল এড়াতে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নির্বাচন করে জয়লাভ করেছিলেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পর পর তিনবার আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র নাথ সাহা। দল বদল করে ধীরেন্দ্র নাথ সাহা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল।