
ছবি: সংগৃহীত
রাজপরিবারের অন্দরে নাকি শুরু হয়েছে ভয়াবহ সংকট। রাজকুমারী বিট্রিস সম্পর্কে এক গোপন DNA পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। দাবি উঠেছে—বিট্রিসের জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্য ফাঁস হয়ে গেছে।
বলা হচ্ছে, এই DNA টেস্ট অনুযায়ী প্রিন্স অ্যান্ড্রু, ডিউক অব ইয়র্ক, আসলে বিট্রিসের জৈবিক পিতা নন। বিট্রিসের জন্ম ১৯৮৮ সালের ৮ আগস্ট, লন্ডনের বিলাসবহুল পোর্টল্যান্ড হাসপাতালে। মা ছিলেন সারাহ ফার্গুসন, ডাচেস অব ইয়র্ক। আর বাবা হিসাবে পরিচিত ছিলেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রু। অর্থাৎ বিট্রিস ছিলেন রানির নাতনি।
কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, বিট্রিসের রক্তের সঙ্গে রাজপরিবারের রক্তের কোনো মিল নেই! গোপন সূত্র অনুযায়ী, সেই গোপন টেস্টের ফলাফলে উঠে এসেছে এক অজানা পুরুষের নাম, যিনি রাজপরিবারের কেউ নন। সুতরাং বিট্রিস যদি প্রিন্স অ্যান্ড্রুর মেয়ে না হন, তবে তার রাজকীয় পরিচয় কি মিথ্যা?
'রয়্যাল ফ্রড' না কি ভুল উত্তরাধিকারের গল্প?
সাম্প্রতিক গুঞ্জনে বলা হচ্ছে, এই তথ্য ফাঁসের পর রাজকুমারী বিট্রিস এতটাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন যে তিনি নাকি নিজের পরিবার থেকে আলাদা হয়ে গেছেন। ভেতরে ভেতরে রাজপরিবারের মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ, আর প্রশ্নের ঝড়। এমনকি কেউ কেউ বলছেন, এই ঘটনা ভবিষ্যতে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রকে চিরতরে কাঁপিয়ে দিতে পারে।
শৈশব থেকেই বিট্রিসের জীবন ছিল চমৎকার। প্রাসাদে থাকা, রাজকীয় স্কুলে পড়াশোনা, বিশাল ১৮তম জন্মদিনের আয়োজন—সব মিলিয়ে এক রূপকথার মতো জীবন। স্কুলে ডাইস্লেক্সিয়া বা পড়াশোনায় সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে ভালো ফলাফল করেন। বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন। কিন্তু তার জীবনভর পরিচয়ের ভিত যদি ভেঙে পড়ে—তবে কীভাবে তিনি আবার দাঁড়াবেন?
এখনো পর্যন্ত রাজপরিবার এই গুঞ্জনের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে মানুষ প্রশ্ন করছেই—এই DNA রিপোর্ট কি সত্যি? আর যদি সত্যি হয়, তবে রাজপরিবার কি বিট্রিসের পরিচয় বদলে দেবে?
আঁখি