
ছবিঃ সংগৃহীত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত মো. ইলিয়াস হোসেন (৪২) নামের এক বিএনপি নেতা মারা গেছেন। শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত মো. ইলিয়াস হোসেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত মো. আবদুল ব্যাপারীর ছেলে এবং সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহতের বড় ভাই বলেন,
“ওরা আগে আওয়ামী লীগ করত, আর আমার ভাই বিএনপি। ওরা আমার ভাইয়ের নামে একের পর এক মামলা দিত—মোট ১৮টি মামলা হয়েছিল। এরপর যখন হাসিনা পালিয়ে যায়, তখন তাঁরা ফিরে এসে আমার ভাইকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার কঠোর শাস্তি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই।”
তিনি আরও জানান, ইলিয়াস মিয়ার লাশ এখনো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। দাফন সম্পন্ন করার পর থানায় হত্যা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“ইলিয়াস মিয়া খুব সৎ মানুষ ছিলেন, মানুষের পাশে থাকতেন। রাজনৈতিক কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গত ৬ জুন শুক্রবার তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় এবং এরপর তাকে রংপুর মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরদিন শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।”
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
নিহতের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ইমরান